গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা-সার্জারির যন্ত্রপাতির চাহিদাপত্র (এমএসআর) ও পথ্য সামগ্রীর দরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক বিধিবহির্ভূতভাবে পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেসার্স স্বর্ণা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. শাহাদত হোসেন খন্দকার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক ২০২৫ সালের সরকারি ক্রয় বিধিমালা (পিপিআর) অনুসরণ না করে ২০০৮ সালের বিধি অনুসরণ করে দরপত্র যাচাইবাছাই ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। পিপিআর ২০২৫ এর বিধি ১৫৪ ধারায় নতুন বিধিমালা অনুসরণের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগে উল্লেখ আছে, দরপত্র প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ডা. দিবাকর বসাক সেই প্রতিনিধি ছাড়া দরপত্র যাচাই সভা করেছেন। তার মদদপুষ্ট হয়ে দরপত্র যাচাইবাছাই ও মূল্যায়ন কমিটির কয়েকজন সদস্য নিজেদের ও দিবাকর বসাকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন।
অভিযোগকারী মো. শাহাদত হোসেন খন্দকার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানসম্মত এমএসআর সামগ্রী সরবরাহ করে আসছি। এবারও দরপত্রে কম মূল্যে গুণগত মানসম্মত এমএসআর সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গত ১৮ অক্টোবর এক পত্রে কম মূল্যে দরপত্র দাখিল করার যুক্তিসংগত কারণসহ জবাব প্রদান করতে বলেছেন।
এদিকে মো. শাহাদত হোসেন খন্দকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা অবহিত করতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার দিবাকর বসাককে নির্দেশ দেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. রফিকুজ্জামান। ২১ অক্টোবর দেওয়া ওই পত্রে পিপিআর ২০২৫ না মানা ও দরপত্র যাচাইবাছাই-মূল্যায়ন কমিটি তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার চেষ্টার বিষয়ে অবহিত করতে বলা হয়। এছাড়া টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যে কোনো জটিলতা দেখা দিলে তার দায়ভার দিবাকর বসাককেই বহন করতে হবে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান আছে। চলমান অবস্থায় পিপিআরের বিধান অনুযায়ী কোনো তথ্য দেওয়ার সুযোগ নেই। ই-জিপি টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক পিপিআর বিধিমালা ও ইজিপি গাইডলাইন মেনেই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আনোয়ার আল শামীম/এমএন/এমএস

2 hours ago
5









English (US) ·