পঞ্চগড়ে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’

3 hours ago 4

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানসহ বিভিন্ন লেখা দেখা গেছে। তবে কারা এসব লিখেছে, সে বিষয়ে কেউ নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দেবীগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এ লেখা সাধারণ মানুষের নজরে আসে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসভার শহীদ আব্দুল মান্নান সড়ক সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ চত্বর, নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের দেয়ালে লাল, কালো ও নীল রঙের কালি দিয়ে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় শেখ হাসিনা’ এবং ‘শেখ হাসিনা তুমি আস্থা’ এমন স্লোগান লেখা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেবীগঞ্জে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। এরপর তাদের কোনো প্রকাশ্য তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে, হঠাৎ এই দেয়াল লিখনের মাধ্যমে তাদের সক্রিয়তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অফিসিয়াল পেজ থেকে শুক্রবার দুপুর ১টায় দেবীগঞ্জের বিভিন্ন দেয়ালে লেখা এসব স্লোগানের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়। তবে, এ বিষয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

দেবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলশ্রুতিতে রাতের আঁধারে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লিখছে। তবে উপজেলা ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সজাগ রয়েছে।

এদিকে, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, ৫ আগস্টের পর শুধু দেবীগঞ্জ নয়, পুরো পঞ্চগড়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেবীগঞ্জ, বোদা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এসব স্লোগান দেখা গেলেও প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। এসব অপতৎপরতা রুখে দিতে পঞ্চগড় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Read Entire Article