পঞ্চগড়ে হাদি হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদির মৃত্যুর খবরে তার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পঞ্চগড় উত্তাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ছাত্রজনতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, অবরোধ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেরাও করেছে।বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রজনতা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়। সেখানে প্রথমে স্লোগান দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়, এতে শত শত মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামানের বাসভবন ঘেরাও করা হয়। সেখানে মাইকে স্লোগান দিতে থাকলে জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান বাসা থেকে বের হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী ও মোকাদ্দেসুর রহমান সান সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধানসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে জেলা প্রশাসক পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা বাসভবন ছেড়ে দেয়। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে অবরোধ

পঞ্চগড়ে হাদি হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদির মৃত্যুর খবরে তার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পঞ্চগড় উত্তাল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ছাত্রজনতা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, অবরোধ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেরাও করেছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রজনতা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়। সেখানে প্রথমে স্লোগান দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়, এতে শত শত মালবাহী ট্রাক আটকা পড়ে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামানের বাসভবন ঘেরাও করা হয়। সেখানে মাইকে স্লোগান দিতে থাকলে জেলা প্রশাসক কাজী সায়েমুজ্জামান বাসা থেকে বের হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এ সময় সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী ও মোকাদ্দেসুর রহমান সান সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধানসহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

পরে জেলা প্রশাসক পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা বাসভবন ছেড়ে দেয়। এরপর সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবারও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর আবারও ‘বাংলাদেশপন্থী ছাত্র জনতা’র ব্যানারে শত শত ছাত্রজনতা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।

কিছুক্ষণ পর পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইনের নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশপন্থী ছাত্র জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়, এতে হাজারো ছাত্রজনতা অংশ নেন। মিছিলটি পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়ক হয়ে জেলা জজ কোর্ট পর্যন্ত গিয়ে আবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে শেষ হয়। সেখানেই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্রশক্তি, ছাত্রশিবির সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, গণ অধিকার পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসের নেতারা বক্তব্য দেন।

বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাদি হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং উন্মুক্ত ঘুরে বেড়ানো আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। দাবি না মানলে আবারও ৫ আগস্টের মতো মাঠে নামার ঘোষণা দেন বক্তারা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow