পঞ্চগড়ে ২ হাজার বস্তা সার জব্দ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধভাবে মজুত করা বিভিন্ন প্রকারের ২ হাজার ১৫১ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের লক্ষ্মীরহাট বাজারে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীরহাট বাজারে অবস্থিত ‘মেসার্স শিখা মনি ট্রেডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। শুরুতে সার মজুতের বিষয়টি অস্বীকার করলেও সেনা সদস্যরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে দুটি পৃথক গোডাউনে বিপুল সার মজুতের প্রমাণ পাওয়া যায়।  পরে ২৬৮ বস্তা ইউরিয়া, ১ হাজার ৩৬৩ বস্তা এমওপি, ১০০ বস্তা টিএসপি (ফসফেট) এবং ৪২০ বস্তা ভ্যাব সার উদ্ধার করা হয়। লক্ষ্মীরহাট বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তিনটি গোডাউনে এসব সার মজুত করা হয়। জব্দ সারের  বাজারমূল্য প্রায় ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক

পঞ্চগড়ে ২ হাজার বস্তা সার জব্দ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধভাবে মজুত করা বিভিন্ন প্রকারের ২ হাজার ১৫১ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের লক্ষ্মীরহাট বাজারে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষ্মীরহাট বাজারে অবস্থিত ‘মেসার্স শিখা মনি ট্রেডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে যৌথ বাহিনী। শুরুতে সার মজুতের বিষয়টি অস্বীকার করলেও সেনা সদস্যরা তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে দুটি পৃথক গোডাউনে বিপুল সার মজুতের প্রমাণ পাওয়া যায়।  পরে ২৬৮ বস্তা ইউরিয়া, ১ হাজার ৩৬৩ বস্তা এমওপি, ১০০ বস্তা টিএসপি (ফসফেট) এবং ৪২০ বস্তা ভ্যাব সার উদ্ধার করা হয়। লক্ষ্মীরহাট বাজার ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তিনটি গোডাউনে এসব সার মজুত করা হয়। জব্দ সারের  বাজারমূল্য প্রায় ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অভিযান শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক সহিদুল ইসলাম বাবুলকে অবৈধভাবে সার মজুত করায় ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। একইসঙ্গে জব্দকৃত সার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে কৃষকদের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে সেই টাকা সহিদুল ইসলামকে প্রদান করার আদেশ দেন। স্থানীয় কৃষক আব্দুল করিম বলেন, কিছুদিন আগে সার সংকটে কৃষকদের হিমশিম খেতে হয়েছে। অথচ আজ এত সার উদ্ধার হওয়ার পরও মাত্র ৩০ হাজার টাকা জরিমানা-এটি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, বিচারক কী সাজা দেবেন সেটা প্রশ্ন করা অনুচিত। এটা আদালত অবমাননার শামিল।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow