পটুয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে আজ অনুষ্ঠিত হবে ড. মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসিরুল কুরআন মাহফিল। দুপুরের পর থেকে শুরু হওয়ায় এই মাহফিলে বাদ এশা আজাহারীর বয়ান করার কথা রয়েছে।
এদিকে মাহফিলের একদিন আগে থেকেই বরিশাল বিভাগ এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসুল্লিরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন। শনিবার সকাল থেকেই মাঠের অধিকাংশ এলাকা মুসুল্লিদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এদিকে মাহফিলকে সফল করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পটুয়াখালী ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাহফিলের জন্য মোট ১০টি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি পটুয়াখালী শহরের প্রধান প্রবেশ পথ ফোরলেন সড়কে বসানো হয়েছে এলইডি স্ক্রিন। এতে করে মানুষ মূল মাঠের বাইরে বসেও মাহফিল দেখতে এবং শুনতে পারবেন। শহরের বিভিন্ন সড়কে এবং মাঠে অর্ধশত এলইডি স্ক্রিন এবং চার শতাধিক মাইক বসানো হয়েছে।
মাহফিলে তিনটি মাঠ নারীদের জন্য নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে লতিফ স্কুল মাঠ, হাজী আক্কেল আলী কলেজ মাঠ এবং হাউজিং এস্টেট মাঠ।
আরও পড়ুন
- কে এই মিজানুর রহমান আজহারী?
- একদল যায়, আরেক দল এসে লুটে খায়: মিজানুর রহমান আজহারী
- যশোরে আজহারীর মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০
মাহফিলের যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা অসুস্থ মুসুল্লিদের জন্য বেশ কয়েকটি মেডিকেল দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মূল মাঠের পাশে সার্কিট হাইজের সমানে ১০টি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি এক হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে।
পটুয়াখালী ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান জানান, এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। স্থানীয় বক্তারা এখন ওয়াজের পাশাপাশি ইসলামি সংগীত এবং পবিত্র কুরআন থেকে তেলওয়াত করছেন। বাদ জোহর মাহফিলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবেন। ডা. মিজানুর রহমান আজহারী বিকেল ৪টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওহনা করবেন। তিনি বাদ এশা মাহফিল ময়দানে উপস্থিত হয়ে বয়ান করবেন। আশা করা হচ্ছে রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে মাহফিল সমাপ্ত হবে।
এদিকে পটুয়াখালী শহরে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। পটুয়াখালীর ইতিহাসে এত বড় আয়োজন কিংবা এত মানুষের উপস্থিত এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরএম/এমএস