পটুয়াখালীতে পানিবন্দি সাড়ে ৬ হাজার পরিবার

2 months ago 5

বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয় গোটা উপকূলজুড়ে। আর হালকা বর্ষণের কয়েক দিন পরই রূপ নেয় গভীর নিম্নচাপে। মুষলধারার বর্ষণের পর নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করলেও বেরিয়ে আসছে এর ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। 

ইতোমধ্যে ৪৬০টি বসতঘর ও স্থাপনা আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আর লাগাতার অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ। এ ছাড়া মৎস্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত ঘের ও মাছ চাষের পুকুর তলিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার।

এদিকে গত কদিনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৌসুমি চাষিরা। তবে এই কৃষককুলে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ করতে পারেনি কৃষি বিভাগ। 

চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমান ফকির জানান, তার ইউপিতে স্বাভাবিকের চেয়ে উচ্চ জোয়ারে নেওয়াপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন বেড়িবাঁধ গড়িয়ে ভেতরে পানি প্রবেশ করে। ফলে আনীপাড়া, চুঙ্গাপাশা, কাছেমখালীসহ কয়েটি গ্রামের প্রায় ৫শ থেকে ৬শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। 

কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মোকছেদুল আলম জানান, উপজেলার অনেক ইউপিতে বেড়িবাঁধের বাইরের পাশে উচ্চ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৬০টি বসতি ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা। তবে সব তথ্য এখনো হাতে এসে পৌঁছায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
 
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, নদী লাগোয়া এবং বেড়িবাঁধের বাইরের পাশে বসবাসরত মৎস্য চাষিদের অধিকাংশ ঘের পুকুর তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার ঘের পুকুরের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

Read Entire Article