পতিত স্বৈরাচার আবার ক্ষমতা দখলের ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখছে : জাহিদ

1 month ago 17

পতিত স্বৈরাচার আবার ক্ষমতা দখলের ‘দিবাস্বপ্ন’ দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুধু ওই চিন্ময়ের জন্য তা না। এই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। দখলের দিন শেষ। বুঝতে হবে এতো বাহিনী থাকার পরেও পালিয়ে যেতে হয়েছে। ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত থাকার পরও দখলের স্বপ্ন দেখেন? সেই স্বপ্ন দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে। ৩৬ কোটি হাত প্রতিরোধ করবে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার-আধিপত্যবাদী-সম্প্রসারনবাদী যে কোনো উদ্যোগকে এই সরকারই শুধু নয়, এদেশের ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার জন্য শেষ রক্ত বিন্দু দিয়েও চেষ্টা করবে।

অধ্যাপক জাহিদ বলেন, আমরা আজকে শুধু প্রতিবাদ জানাচ্ছি এইটুকুই না। আমাদের মনে রাখতে হবে, ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলছে, ষড়যন্ত্র শেষ হয় নাই। কোনো অবস্থাতে ভাবার কারণ নাই আপনার অধিকার আপনি এমনি এমনি ফেরত পাবেন।

পাশাপাশি তিনি বলেন, যেরকম ভাবে তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে ছিলেন, আন্দোলনে আছেন এবং থাকবেন। আগামী দিনের লড়াই হবে আরও কঠিন। দেখেন, আস্তে আস্তে আমাদের সামনে কঠিন সময় আসতেছে। এই সময় দরকার ঐক্য। শুধু ঐক্যই পারে যে কোনো ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করতে এবং সম্প্রসারণবাদী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করতে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভয়েস অব টাইমস নামক সংগঠনের উদ্যোগে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে উগ্রবাদী হিন্দুদের হামলা এবং ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলও করে সংগঠনটি।

অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেব দিল্লিতে গিয়ে বলেছিলেন, আমাদের আরেকটু ক্ষমতায় রাখেন। জনগণের ভোটে তারা বিশ্বাস করে না। সেজন্যই ‘১৪, ‘১৮ ও ’২৪ এ নির্বাচন কি হয়েছে দেশের মানুষ দেখেছে। মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়না। ভারত পতিত স্বৈরাচারকে জায়গা দিয়েছে, এখন তাদের গাত্রদাহ।

তিনি বলেন, তারা (ভারত) আমাদের সঙ্গে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারে বাণিজ্য করে, আমাদের দেশে যখন পেঁয়াজের দাম বাড়ে তখন তারা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। আমাদের দেশের মানুষের যখন পানি দরকার তখন বাঁধ বেঁধে দেয়, তারা পানি দেয় না।

পাশাপাশি তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেও যখন তাদের দেশে বন্যা হতে থাকে তখন ফেনীর এখানে বাঁধ খুলে দিল। তাতে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের খাগছড়ি ভেসে গেল। আবার তিস্তাতেও গজলডোবার বাঁধ খুলে দিল তাতে রংপুর, গাইবান্ধাসহ সবটা ভেসে গেল অর্থাৎ তারা শুস্ক মৌসুমে আমাদের পানি দেয় না, আর বর্ষা কালে পানি ছেড়ে দিয়ে কষ্ট দেয়। তারা আমাদেরকে এভাবে শোষণ করতে চায়, নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।

ভয়েস অব টাইমসের সভাপতি ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির হেলাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

Read Entire Article