ছাত্রছাত্রীদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। তবে উপাচার্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে উল্লেখ করলেও পদত্যাগপত্রে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেছেন উপ-উপাচার্য।
সোমবার (১২ আগস্ট) চ্যান্সেলরের নিকট পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগের দাবিতে গত ৩-৪ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
কুয়েট ভিসি প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে ভাইস-চ্যান্সেলর পদের দায়িত্ব থেকে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম।’
এই পদত্যাগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সে লক্ষ্যে এবং পূর্ণকালীন/ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রফেসর ডক্টর মিহির রঞ্জন হালদার ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর কুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেন।
অপরদিকে প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘গত ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদে যোগদান করি। এখন আমার শারীরিক অসুস্থতা এবং ব্যক্তিগত কারণে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর পদ থেকে অব্যাহতি চাচ্ছি।’
আলমগীর হান্নান/এফএ/জেআইএম