পদাবনতি দিয়ে বদলি হলেন সেই কৃষি কর্মকর্তা
কৃষকের ভাতার টাকা নিয়ে অনিয়ম আর উপকরণ না দিয়ে অর্থ লুট, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতায় একের পর এক খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিক। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েক দফায় তদন্তে নামে কৃষি প্রশাসন।
তদন্ত শেষে আলোচিত এ কৃষি কর্মকর্তাকে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় অতিরিক্ত কৃষি অফিসার পদে পদাবনতি দিয়ে বদলির আদেশ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জসীম উদ্দীন। তিনি বলেন, ইভা মল্লিকের গ্রেড-৬, এটা ঠিকই আছে। অফিসিয়ালি এটাকে পদাবনতি বলা যাবে না, তবে তাকে উপজেলা কৃষি অফিসারের অধীনে কাজ করতে হবে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম স্বাক্ষরিত আদেশে নড়াইলের কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিককে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার পদে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আরও বলা হয়, আগামী ২৭ আগস্ট বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন, অন্যথায় পরদিন ২৮ আগস্ট থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) বলে গণ্য হবেন।
এর আগে কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত উপজেলার ১৪টি কৃষকদের পার্টনার ফিল্ড স্কুলগুলোতে চরম অব্যবস্থাপনাসহ কৃষকদের সেশনের প্রাপ্য নাস্তা ও সম্মানী বাবদ পাওনা টাকা নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে নিয়ে হয় তীব্র সমালোচনা।
তাকে নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় বরাবর অভিযোগ দেন সার ও বীজ ডিলার শেখ জামিল আহমেদ। বিষয়টি কয়েক দফায় তদন্ত করেন কৃষি বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। ইভা ২০২৩ সালের ১৭ মে কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, কালিয়া উপজেলার কৃষি উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল ওই কর্মকর্তার জন্য। এখন আবার ঠিক হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে ইভা মল্লিকের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও রিসিভ হয়নি।