পদ্মা সেতু হয়ে বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-যশোর-খুলনা-বেনাপোল সেকশনে ট্রেন সেবা ২ ডিসেম্বর থেকে চালু হবে।
পদ্মা রেল লিঙ্কের প্রকল্প পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেছেন, আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-বেনাপোল সেকশনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
তিনি বলেন, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনা থেকে ২ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় কমলাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস একই দিন বেলা ১১টার দিকে কমলাপুর থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, ঢাকা থেকে বেনাপোল মোট যাত্রার সময় হবে আনুমানিক সাড়ে তিন ঘণ্টা।
তিনি বলেন, নবনির্মিত ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন রেল ট্র্যাকটি রূপদিয়া ও সিংগিয়া স্টেশন হয়ে বিদ্যমান খুলনাগামী রেল ট্র্যাককে সংযুক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার ৩৭ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কমলাপুর থেকে রূপদিয়া ও সিংগিয়া স্টেশন পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সরকারি পরিদর্শক (জিআইবিআর) ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত লাইন সফলভাবে দুই দিনের পরিদর্শন শেষ করার পর এ অগ্রগতির কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার ব্রড-গেজ সিঙ্গেল-লাইন নির্মাণ করেছে, যা ব্যয়ের দিক থেকে রেলওয়ের জন্য সবচেয়ে বড় প্রকল্প এবং ব্যয়ের অর্ধেকেরও বেশি ঋণ সহায়তা হিসেবে চীন প্রদান করছে।
গত বছরের অক্টোবরে এই লাইনের ঢাকা-ভাঙ্গা সেকশন চালু হয় এবং এই সেকশনে ৫টি ট্রেন চলাচল করছে।
রেললাইন চালু হলে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে, যা ভ্রমণের সময় অর্ধেকে নামবে। বর্তমানে যশোর পৌঁছাতে সময় লাগে আট ঘণ্টার বেশি।
এই লাইনটি দেশের বৃহত্তম দুটি সমুদ্রবন্দর- চট্টগ্রাম ও মংলাকে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে সহজতর করবে।