রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে পাবনার পাকশী চ্যানেল পর্যন্ত রাজবাড়ী, পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাবিব-উন-নবী ও মো. আশিকুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ আহমেদ। এছাড়া নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষে ছিলেন মুনতাসীর মাহমুদ রহমান।
আইনজীবী হাবিব-উন-নবী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে বালু মহাল ইজারার ক্ষেত্রে অবশ্যই বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আর পদ্মা নদী চ্যানেলের তলদেশ রক্ষা করে এবং নদীর পাড় ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভের মাধ্যমে উত্তোলন যোগ্য বালুর স্থান ও পরিমাণ নির্ধারণ করে সেই সার্ভের ভিত্তিতে বালু মহাল ঘোষণা করতে হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফরিদ হাসান মেহেদী ও রাশেদুজ্জামান রানাসহ ৫ জন ২০২২ সালে জনস্বার্থে রিট করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে মঙ্গলবার রায় দেওয়া হয়।
এফএইচ/এমএএইচ/এমএস