পরকীয়ার অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষিকা গ্রেফতার

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগে শিক্ষক এসএম কামরুল হাবিব সুমন (৫২) ও এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালের দিকে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতারে আদালতে সোপর্দ করেছে। জানা গেছে, এসএম কামরুল হাবিব সুমন জামালপুর মজিদিয়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকা কামারপাড়া ইউনিয়নের নুরপুর (ফকিরপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলার পশ্চিশ কেশালীডাঙ্গা কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষিকার স্বামী কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকার সুযোগে শিক্ষক সুমনের সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। এমন অবস্থায় সুমন মিয়া প্রায়ই ওই শিক্ষিকার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এরই একপর্যায়ে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে সুমন মিয়া গোপনে প্রবেশ করেন। এরপর স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের দুইজনকে এক রুম থেকে আটক করেন। পরে ঘটনাস্থলে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও গ্রামপুলিশরা। পরে বুধবার সকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে পরকীয়ার অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেন। শিক্ষিকার দাবি, গত তিন বছর আগে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছ

পরকীয়ার অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষিকা গ্রেফতার

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় পরকীয়ার অভিযোগে শিক্ষক এসএম কামরুল হাবিব সুমন (৫২) ও এক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালের দিকে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতারে আদালতে সোপর্দ করেছে।

জানা গেছে, এসএম কামরুল হাবিব সুমন জামালপুর মজিদিয়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং অভিযুক্ত শিক্ষিকা কামারপাড়া ইউনিয়নের নুরপুর (ফকিরপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলার পশ্চিশ কেশালীডাঙ্গা কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষিকার স্বামী কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকার সুযোগে শিক্ষক সুমনের সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক হয়। এমন অবস্থায় সুমন মিয়া প্রায়ই ওই শিক্ষিকার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। এরই একপর্যায়ে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে সুমন মিয়া গোপনে প্রবেশ করেন। এরপর স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের দুইজনকে এক রুম থেকে আটক করেন। পরে ঘটনাস্থলে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য ও গ্রামপুলিশরা। পরে বুধবার সকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে পরকীয়ার অভিযোগে শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করেন।

শিক্ষিকার দাবি, গত তিন বছর আগে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তখন থেকে আলাদা বাড়ি করে সেখানে বসবাস করে আসছেন তিনি। ভাই সম্পর্কের সুবাদে সুমন মিয়া তাদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। তার সঙ্গে অসমাজিক কিছু নেই।

কামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ আর এম মাহফুজার রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে।

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, গ্রেফতারকৃত ওই শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে আজ বিকাল আড়াইটার দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আনোয়ার আল শামীম/এনএইচআর/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow