পরিচালক নয়, সভাপতি হয়েই বিসিবিতে ফিরতে চান তামিম
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে পরিচালক পদে নয়, সরাসরি সভাপতি হিসেবেই দায়িত্ব নিতে চান তামিম ইকবাল। দেশের সাবেক এই অধিনায়ক ইতোমধ্যেই ঢাকার প্রভাবশালী একাধিক ক্লাব কর্তাদের সমর্থন পেয়েছেন বলে দাবি দেশের একটি গণমাধ্যমের।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য বোর্ড সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনসহ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগ বা অক্টোবরের শুরুতেই হতে পারে ভোটযুদ্ধ।
বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে অক্টোবরে। নিয়ম অনুযায়ী ৭৬ ক্লাব কাউন্সিলরের ভোটে ১২ পরিচালক নির্বাচিত হবেন, আর সেই পরিচালকদের ভোটেই নির্ধারিত হবে নতুন সভাপতি। ইতোমধ্যেই বসুন্ধরা গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ১৮ ক্লাবের সমর্থন পেয়েছেন তামিম, যা তাকে সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে রাখছে। কাউন্সিলর পদে থাকার কারণে তার জন্য পরিচালক হওয়ার পথও খোলা।
তবে সভাপতি পদে লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সামনে আসতে পারেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ক্রীড়া পরিষদের কোটা থাকায় পরিচালক পদে লড়াই নিয়ে তার কোনো দুশ্চিন্তা নেই। তবে বর্তমান পরিচালকদের পূর্ণ সমর্থন না পেলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতেও পারেন।
এ ছাড়া দৌড়ে আছেন আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি থেকে বের করে দেওয়া সভাপতি ফারুক আহমেদের। যদিও অতীত অভিজ্ঞতা এবং ভোটভিত্তিক সমর্থন বিবেচনায় সভাপতি প্রার্থিতায় তিনি তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে।
সব মিলিয়ে বিসিবির সভাপতি পদ নিয়ে চলছে নেপথ্যের হিসেব-নিকেশ। এর সঙ্গে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বদল হলে বোর্ড সভাপতির পদেও আসতে পারে পরিবর্তন। সেক্ষেত্রে রাজনীতির বাইরের মানুষ বুলবুলের জন্য পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে কঠিন।
অতএব, নির্বাচনী লড়াইয়ের আনুষ্ঠানিক তফসিল ঘোষণার আগেই পরিষ্কার— তামিম ইকবাল চাইছেন নেতৃত্বের শীর্ষে বসে ক্রিকেট বোর্ডে ফিরে আসতে। এখন কেবল দেখার বিষয়, ভোটের অঙ্ক শেষ পর্যন্ত কোন প্রার্থীর পক্ষে যায়।