পরিচালনা পর্ষদ ও কমিটির কার্যবিবরণীতে ‘ডিসেন্ট নোট’ বাধ্যতামূলক

1 month ago 9

ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ ও সহায়ক কমিটির সভায় পরিচালকদের মতামত ও ভিন্নমত (ডিসেন্ট নোট) যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করতে এবার বাধ্যতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।

নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও কমিটির সভায় আলোচিত এজেন্ডা বা বিষয়ে কোনো পরিচালক দ্বিমত পোষণ করলে বা ব্যতিক্রমী মতামত প্রদান করলে, তা সভার কার্যবিবরণীতে বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একইভাবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষকের পক্ষ থেকে দেওয়া মতামত বা পর্যবেক্ষণও সভার কার্যবিবরণীতে সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

কেন এই নির্দেশনা?

বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর-০২-এ পর্ষদ সভা সংক্রান্ত নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে অনেক ব্যাংক তা অনুসরণ করছে না। অনেক সময় সভার আলোচনার মূল বিষয় বা পরিচালকদের মতামত যথাযথভাবে কার্যবিবরণীতে প্রতিফলিত হয় না, ফলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের কার্যকর অংশগ্রহণ ও অবদান বাধাগ্রস্ত হয়।

নতুন নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে

১. আলোচনা ও মতামত লিপিবদ্ধ: সভায় উপস্থাপিত এজেন্ডার ওপর পরিচালকদের আলোচনা, মতামত, পর্যবেক্ষণ, সুপারিশ ও ডিসেন্ট নোট কার্যবিবরণীতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

২. বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষণ: ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো পর্যবেক্ষক উপস্থিত থাকলে, তার মতামতও সভার কার্যবিবরণীতে যুক্ত করতে হবে।

৩. পূর্বের নির্দেশনা বহাল: বিআরপিডি সার্কুলার নং-০২-এর অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

৪. কার্যকারিতা: এই নির্দেশনা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী জারি করা হয়েছে এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগকে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং পরিচালনা পর্ষদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইএআর/এমএমএআর/জেআইএম

Read Entire Article