পরিবার পরিকল্পনায় এক ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও সামাজিক খরচে ১৪ ডলার সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে। পাশাপাশি মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর ৩০ শতাংশ প্রতিরোধ এবং অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস করা সম্ভব।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় পরিবার পরিকল্পনা কৌশল ২০২৫–২০৩০ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ৭০ এর দশকে আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ব্যবহার মাত্র ৮ শতাংশ ছিল। যা আজ ৬৪ শতাংশে উন্নীত হয়। তবুও সাম্প্রতিক সময়ে অগ্রগতি স্থির থাকায় প্রায় ৫০ লাখ নারীর পরিবার পরিকল্পনার অপূরণ চাহিদার হার ১২ শতাংশ রয়েছে।
২০২৫–২০৩০ সালের কৌশলটি মূলত নিম্নলিখিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলার ওপর কেন্দ্রীভূত। বিবাহিত কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনার প্রয়োজন অনুযায়ী অপূরণ চাহিদা, কন্যাশিশু বিবাহের কারণে অকাল মাতৃত্ব, স্বল্পমেয়াদি পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির গ্রহণের কম হার এবং আঞ্চলিক বৈষম্য।
নতুন কৌশলটি ঐতিহাসিকভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর মনোযোগ থেকে সরে এসে অধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। যেটি মানুষকে পছন্দের স্বাধীনতা, ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তির সুযোগ দেয়। এ কৌশলের লক্ষ্য হলো পরিবার পরিকল্পনায় অপূরণ চাহিদা শূন্য, প্রতিরোধযোগ্য মাতৃ মৃত্যু শূন্য এবং কন্যাশিশু বিবাহসহ জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ও ক্ষতিকর প্রথা দূরীকরণ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান স্থানীয় পর্যায়ে কৌশল বাস্তবায়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, কৌশল বাস্তবায়নের জন্য প্রমাণভিত্তিক তথ্য ব্যবহার এবং নতুন জরিপেরও প্রয়োজন রয়েছে।
এসময় ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সচিব মো. সৈয়দুর রহমান, মেডিকেল এডুকেশন ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আশরাফি আহমদ, স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমওএস/আরএইচ

2 hours ago
4









English (US) ·