পরিবারের বিরুদ্ধে মেয়ের গর্ভপাতের অভিযোগ, যমজ নবজাতকের মৃত্যু

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাতে যমজ দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অবৈধভাবে গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর শাশুড়ি। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- সমছুল মিয়ার ছেলে মাহবুর রহমান (৪৫), মোকছেদুল (২০), মাহবুর রহমানের স্ত্রী সেরিকা বেগম (৩৬), মৃত শরীয়ত উদ্দিনের ছেলে ইসলাম মিয়া (৫০) ও ইসলাম মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫)। তারা পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুক জামিরা হাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। মামলার বিষয়টি মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাসুদুর রহমান। মামলা সূত্রে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুক জামিরা হাজীপাড়া গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে স্বপন মিয়ার (২২) সঙ্গে একই গ্রামের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু মেয়ের পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল না। পরে ওই ছেলে বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করে মেয়ের পরিবার। এর কিছুদিন পর আপস করার লক্ষ্যে ছেলে ও মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ইসলামিক শরি

পরিবারের বিরুদ্ধে মেয়ের গর্ভপাতের অভিযোগ, যমজ নবজাতকের মৃত্যু

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাতে যমজ দুই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অবৈধভাবে গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর শাশুড়ি। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন- সমছুল মিয়ার ছেলে মাহবুর রহমান (৪৫), মোকছেদুল (২০), মাহবুর রহমানের স্ত্রী সেরিকা বেগম (৩৬), মৃত শরীয়ত উদ্দিনের ছেলে ইসলাম মিয়া (৫০) ও ইসলাম মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫)। তারা পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুক জামিরা হাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিষয়টি মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাসুদুর রহমান।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের তালুক জামিরা হাজীপাড়া গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে স্বপন মিয়ার (২২) সঙ্গে একই গ্রামের এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু মেয়ের পরিবার এই বিয়েতে রাজি ছিল না। পরে ওই ছেলে বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করে মেয়ের পরিবার। এর কিছুদিন পর আপস করার লক্ষ্যে ছেলে ও মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক আবার তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বপন মিয়া তার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। এসময় তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

সম্প্রতি ৭ মাসের গর্ভাবস্থায় বাবার বাড়িতে আসেন ওই কিশোরী। পরিবার তাকে আলট্রাসোনোগ্রাম করার জন্য গাইবান্ধা শহরে নিয়ে যায়। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। এতে ৭ মাসের দুটি কন্যা শিশুর জন্ম হয়। এর মধ্যে একটির মৃত অবস্থায় জন্ম হয়, অন্যটি পরে মারা যায়। ঘটনাটি ২৮ নভেম্বর ঘটলেও একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।

মামলার বাদী হাছিনা বেগম বলেন, স্বপন মিয়া আমার ছেলে। সে বাইরে বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করে। স্ত্রী নিয়ে সে ঢাকায় থাকত। কিন্তু ওই মেয়ের পরিবার তাকে আমার ছেলের সঙ্গে সংসার করাবে না। তাই অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটিয়েছে। নিষ্পাপ দুটি শিশুকে দুনিয়ার মুখ দেখতে দেয়নি। এই জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচার চাই।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালের অতিরিক্ত পিপি মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ছেলের মা (নবজাতকের দাদি) বাদী হয়ে পলাশবাড়ী আমলি আদালতে মামলা করেছেন। আদালত পলাশবাড়ী থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

আনোয়ার আল শামীম/এফএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow