রংপুরের পীরগাছায় পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় অভিমানে মাহফুজুর রহমান (১৫) নামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার পারুল ইউনিয়নের গুঞ্জরখাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মাহফুজ ওই গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমানের ছেলে।
নিহতের সহপাঠী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহফুজুর রহমান স্থানীয় দেউতি স্কুল এন্ড কলেজে ৮ম শ্রেণিতে পড়ত। রোববার তার গণিত বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষা ছিল। এর আগে সে ৫টি বিষয়ের পরীক্ষা দিলেও গণিত পরীক্ষার দিন পরীক্ষার হলে ঢুকলে দায়িত্বরত সহকারী শিক্ষক তাকে জানায়, সে রেজিস্ট্রেশন করেনি। তাই তার পরীক্ষা দিয়ে কোনো লাভ নেই। তাকে আরও এক বছর ৮ম শ্রেণিতে থাকতে হবে। এ সময় তাকে পরীক্ষা দিতে নিষেধ করা হয়।
তখন মাহফুজ স্কুলের অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন শিক্ষককে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে যায়। এরপর সে দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে তার বাড়ির পাশে দাদা নূর হোসেনের ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মাহফুজের সহপাঠী মেহেদী হাসান কৌশিক জানায়, ২-৩ মাস আগে রেজিস্ট্রেশনের সময় দেওয়া হলেও সে ঠিকমতো স্কুলে যেত না। এ জন্য সে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি।
এ বিষয়ে দেউতি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সাজু বলেন, ওই ছাত্র রেজিস্ট্রেশন করেনি। ঠিকমতো স্কুলে আসত না। রেজিস্ট্রেশন না করায় পরীক্ষা দিয়ে তার কোনো লাভ নেই। তাকে ওই শ্রেণিতে আরও এক বছর থাকতে হবে। এ বিষয়টি তাকে শিক্ষকরা বুঝিয়ে বলেছে। তখন সে নিজে থেকে স্কুল থেকে চলে গেছে। তবে আমি এ ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত।
পীরগাছা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. তাজুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, আমরা তদন্ত করছি। নিহতের পরিবারকে বলা হয়েছে তারা মামলা দিলে আমরা মামলা নেব। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বোঝাপড়া চলছে। তাদের সিদ্ধান্তের ওপর আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।