পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ায় শিক্ষিকাকে মারধর করল ছাত্র
২০ নম্বরের পরীক্ষায় শিক্ষিকা তাকে ১৮ নম্বর দিয়েছে। দুই নম্বর কেন কম দেওয়া হলো, সে ব্যাপারে শিক্ষিকার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করে। এরপর ওই শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে অন্যদের সামনেই শিক্ষিকাকে একের পর এক কিল, ঘুষি মারতেই থাকে ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ উথাই থানিতে এ ঘটনা ঘটে। পুরো ঘটনাটি শ্রেণিকক্ষে থাকা সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে, যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এনডিটিভি বলছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় পরীক্ষার নম্বর নিয়ে। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্র তার গণিত শিক্ষিকাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কেন উত্তর সঠিক হওয়া সত্ত্বেও তাকে ২০ নম্বরের জায়গায় ১৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষিকা তাকে বলেন, যদিও উত্তর সঠিক হয়েছে কিন্তু তার যতটুকু উন্নতি করা দরকার ছিল, সেটি না করায় দুই নম্বর কম দেওয়া হয়েছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্য শিক্ষকরাও নম্বর দিয়েছে জানিয়ে, তাদের কাছে ছাত্রটিকে যেতে বলেন তিনি।
এরপর অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে সে শ্রেণিকক্ষে ফিরে এসে শিক্ষিকাকে তার নম্বর বাড়িয়ে দিতে বলে। তিনি এতে রাজি না হলে ছাত্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে একটি ডেস্কে লাথি মারে।
এর কয়েক মিনিট পর ওই শিক্ষিকাকে সে মাফ চাইতে বললে তিনি এতে অসম্মতি জানান। এর পরপরই ছাত্রটি তাকে লাথি, কিল, ঘুষি মারতে থাকে।
জানা গেছে, ছাত্রের ঘুষিতে ওই শিক্ষিকার চোখে কালশিটে দাগ পড়েছে। এছাড়া মাথা ও শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত পেয়েছেন তিনি।
হামলার শিকার শিক্ষিকা ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।