পরোপকারী সঞ্জীবের এমন মৃত্যু কেউ মানতে পারছে না

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আল খয়ের নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত সঞ্জীব দাশ (৪৩) উপজেলার শিলক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড নটুয়ারটিলা গ্রামের দাশ পাড়া এলাকার লাল মোহন দাশের ছেলে। নিহতের স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। ওমানের একই এলাকায় থাকা প্রবাসী মো. ওবায়দুল হক মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  প্রবাসী ওবায়দুল হক জানান, নিহত সঞ্জীব দীর্ঘ বছর ধরে ওমানে ফ্রি ভিসায় থাকেন। কার্পেন্টার কাজসহ যখন যা পান, তা নিজের একটি সাইকেলযোগে গিয়ে করে দিয়ে আসেন। এভাবেই চলছে দীর্ঘ বছরের তার কর্মজীবন। সোমবার বেলা ১২টার পর তিনি সাইকেল চালিয়ে কাজ থেকে ফিরছিলেন। এসময় দ্রুতগামী একটি স্কুল বাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে গিয়ে পাশের সড়ক ওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে তার মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।  তিনি আরও জানান, বর্তমানে সঞ্জীবের মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে প্রবাসে সঞ্জীব দাশের এমন মৃত্যুর খবরে দেশে তার পরিবারে শোকের

পরোপকারী সঞ্জীবের এমন মৃত্যু কেউ মানতে পারছে না

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আল খয়ের নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত সঞ্জীব দাশ (৪৩) উপজেলার শিলক ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড নটুয়ারটিলা গ্রামের দাশ পাড়া এলাকার লাল মোহন দাশের ছেলে। নিহতের স্ত্রী ও তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। ওমানের একই এলাকায় থাকা প্রবাসী মো. ওবায়দুল হক মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

প্রবাসী ওবায়দুল হক জানান, নিহত সঞ্জীব দীর্ঘ বছর ধরে ওমানে ফ্রি ভিসায় থাকেন। কার্পেন্টার কাজসহ যখন যা পান, তা নিজের একটি সাইকেলযোগে গিয়ে করে দিয়ে আসেন। এভাবেই চলছে দীর্ঘ বছরের তার কর্মজীবন। সোমবার বেলা ১২টার পর তিনি সাইকেল চালিয়ে কাজ থেকে ফিরছিলেন। এসময় দ্রুতগামী একটি স্কুল বাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে গিয়ে পাশের সড়ক ওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে তার মাথা থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। 

তিনি আরও জানান, বর্তমানে সঞ্জীবের মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে প্রবাসে সঞ্জীব দাশের এমন মৃত্যুর খবরে দেশে তার পরিবারে শোকের মাতম। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকলের কাছে শান্তস্বভাবের পরোপকারী হিসেবে পরিচিত সঞ্জীবের এমন মৃত্যু যেন কেউই মেনে নিতে পারছেন না। ইতঃপূর্বে মাকে হারানো সঞ্জীবের পরিবারে রয়েছে বাবা আর ভাই। মাত্র ৫ মাস আগে ছুটি কাটিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এক মাস আগে সঞ্জীবের জন্য গ্রামের অপর এক প্রবাসী আবদুল সবুরের মাধ্যমে রান্না করা খাবার পাঠিয়েছিল তার পরিবার। কে জানতো, এটাই ছিলো তার পরিবারের পাঠানো তার শেষ খাবার।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow