পর্তুগালের জার্সিতে রোনালদোর ছেলের প্রথম গোল

6 hours ago 6
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর উত্তরসূরি যেন নিজের পথেই হাঁটছেন। কিংবদন্তি ফুটবলারের ১৫ বছর বয়সী পুত্র ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়র পর্তুগালের অনূর্ধ্ব–১৬ দলের হয়ে প্রথম গোল করেছেন। তুরস্কের উপকূলীয় শহর আনতালিয়ায় ওয়েলসের বিপক্ষে ফেডারেশনস কাপের ম্যাচে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল করে বাবার পথ অনুসরণ করলেন তরুণ রোনালদো। জুনিয়রের গোলে শুরুতে লিড নেয় পর্তুগাল, যা শেষ পর্যন্ত ৩–০ ব্যবধানে জয়ে রূপ নেয়। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে কার্লোস মোইতা এক নিখুঁত থ্রু–পাস দেন, আর সেখান থেকেই ডান পায়ে নিচু শটে বল জালে পাঠান ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। এরপর রাফায়েল ক্যাব্রাল করেন জোড়া গোল, একটি ৬৫তম মিনিটে ও অপরটি যোগ করা সময়ে। এই জয়ে ফেডারেশনস কাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল পর্তুগাল অনূর্ধ্ব–১৬ দল। এর আগে তারা স্বাগতিক তুরস্ককে ২–০ গোলে হারিয়েছিল। তবে সবার নজর ছিল এক তরুণের দিকেই—‘ক্রিস্টিয়ানিনহো’, যিনি ধীরে ধীরে “রোনালদোর ছেলে” পরিচয়ের বাইরে নিজের নাম তৈরি করতে শুরু করেছেন। ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়রের ফুটবল শিক্ষার পথটিও বাবার মতোই আন্তর্জাতিক। রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাসের বয়সভিত্তিক দলে খেলার পর বর্তমানে তিনি খেলছেন সৌদি আরবের আল–নাসরের একাডেমিতে—যেখানে খেলছেন তার বাবা রোনালদোও। পুত্রের প্রতিভা নিয়ে রোনালদো সবসময়ই ইতিবাচক হলেও সচেতনও বটে। তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সে অনেক প্রতিযোগিতামূলক, ছোটবেলায় আমিও এমন ছিলাম। হারতে পছন্দ করে না। আমি ওর ওপর অতিরিক্ত চাপ দিই না, কারণ সে ইতিমধ্যেই ‘ক্রিশ্চিয়ানোর ছেলে’ হওয়ার চাপের মধ্যে আছে। ওর ভুল করার সুযোগ থাকুক—আমি শুধু চাই, ভবিষ্যতে সে একজন পেশাদার খেলোয়াড় হয়ে উঠুক।’ এ বছরই ক্রোয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ভলাতকো মার্কোভিচ টুর্নামেন্টে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব–১৫ দলের হয়ে দুই গোল করে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন জুনিয়র। বাবার উত্তরাধিকার বয়ে নেওয়া সহজ নয়। ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতা রোনালদো (২২৫ ম্যাচে ১৪৩ গোল) পর্তুগালকে এনে দিয়েছেন ইউরো ২০১৬ ও নেশন্স লিগের ২০১৯ ও ২০২৫ শিরোপা। তাই জুনিয়রের তুলনা বাবার সঙ্গে হবেই। তবে আনতালিয়ায় তার এই প্রথম গোল যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে—নিজের পথ তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই শুরু করেছেন।  
Read Entire Article