কয়েক সপ্তাহ চালু রাখার পর ফের পর্যটকদের জন্য দুয়ার বন্ধ করলো উত্তর কোরিয়া। পাঁচ বছর বিরতি দিয়ে পশ্চিমা পর্যটকদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করেছিল দেশটি। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আনলো দেশটি। খবর বিবিসির।
২০২০ সালের শুরুতেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। এরপর ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে কিছু বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়া হয়।
২০২৪ সালে রাশিয়ার পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলে দেয় পিয়ংইয়ং। গত মাসে পশ্চিমা পর্যটকরা দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় রাসন নামের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছেন।
বেশ কিছু ট্যুর কোম্পানি জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশটিতে পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবেন না। কী কারণে হঠাৎ করেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো সে বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
চীনাভিত্তিক কেটিজি ট্যুরস জানিয়েছে, তারা তাদের কোরীয় অংশীদারদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়েছে যে, রাসন শহরটি সবার জন্যই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা পরবর্তী আপডেট জানাবে।
ইয়াং পাইওনিয়ার ট্যুরস এবং কোরিও ট্যুরস নামের দুটি সংস্থাও একই ধরনের বার্তা দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ইয়াং পাইওনিয়ার জানিয়েছে, এপ্রিল এবং মে মাসে যারা ফ্লাইট বুকিং দিতে চাচ্ছেন তারা পরবর্তী তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত বুকিং দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাসন এলাকায় পশ্চিমা পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এটি উত্তর কোরিয়ার একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
- আরও পড়ুন:
- মাত্রাতিরিক্ত খরচ/অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কারে সামরিক ফ্লাইট স্থগিত করলো ট্রাম্প প্রশাসন
- হাত-পা বেঁধে ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠালো যুক্তরাষ্ট্র, ভিডিও ভাইরাল
ট্যুর অপারেটরগুলো বিবিসিকে জানিয়েছে, করোনা মহামারি সময়ের চেয়েও এখন আরও বেশি বিধি-নিষেধ জারি হচ্ছে। ওই অঞ্চলে ফোনের সিগন্যাল এবং ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বিদেশি পর্যটক উত্তর কোরিয়ায় ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে ৯০ শতাংশই চীনা নাগরিক।
টিটিএন