• পর্যটক কমায় কমেছে রাজস্ব আয়
• খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ
• অনুমতির জটিলতায় আগ্রহ হারাচ্ছেন পর্যটকরা
• রয়েছে অবকাঠামো ঘাটতি
অক্টোবর মানেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলজুড়ে সুন্দরবন ভ্রমণের মৌসুম। এ সময়টাতে সাধারণত পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে নদীর ঘাট। কলাগাছিয়া ঘাটে থাকে সারি সারি ট্রলার, গাইড আর বনবিভাগের পাশের কাউন্টারে থাকে লম্বা লাইন। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। মৌসুমের শুরুতেই নিস্তব্ধ সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ। চারপাশে শুধু জোয়ারের শব্দ আর ট্যুর অপারেটরদের হতাশ মুখ।
বন খুললেও পর্যটন ফিরছে না
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ সেপ্টেম্বর থেকে সুন্দরবন উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু দুই মাস পার হয়ে গেলেও পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়নি সাতক্ষীরা রেঞ্জে। বনবিভাগের তথ্যমতে, এসময় সাধারণত প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৭০টি নৌযান বনে প্রবেশ করে। কিন্তু এবার সে সংখ্যা দৈনিক গড়ে ১০টিরও কম।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন ইনচার্জ জিয়াউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর আমরা ভেবেছিলাম অক্টোবরের শেষে পর্যটক ভিড় বাড়বে। কিন্তু এখনো পরিস্থিতি আশানুরূপ নয়। কলাগাছিয়া, দোবেকি এলাকায় যারা যাচ্ছেন, তারা মূলত এক দিনের পর্যটক। তিন দিনের পর্যটক কম। রাজস্ব আদায়ও গত বছরের তুলনায় অর্ধেকের নিচে।
আরও পড়ুন-
দেশি-বিদেশি পর্যটকে মুখর সোনারগাঁও জাদুঘর
চলতি মৌসুমে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ অনিশ্চিত
তিনি আরও বলেন, এই রুটে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরবস্থায় সাধারণ পর্যটকরা খুলনা বা মোংলাকে বেছে নিচ্ছেন।
ভালো মানের জলযান না থাকায় পর্যটক নিরুৎসাহিত
সাতক্ষীরা রেঞ্জের অন্যতম বড় সমস্যা হচ্ছে মানসম্মত জলযান সংকট। তিন দিনের ভ্রমণের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক লঞ্চ বা বড় ভেসেল এখানে নেই। যা কিছু আছে, তা ছোট ট্রলার। যেখানে পরিবার বা নারী-শিশু নিয়ে ভ্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ।

স্থানীয় ট্যুর অপারেটর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমাদের এখানে খুলনা বা মোংলার মতো বড় জলযান নেই। পর্যটকরা পরিবার নিয়ে আসতে চায়, কিন্তু ছোট ট্রলারে তারা নিরাপদ মনে করেন না। খুলনার নৌযান আনতে গেলে খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেরা লঞ্চ আনতে চাই, কিন্তু প্রশাসনিক অনুমতি, আর্থিক সক্ষমতা ও পর্যটক স্বল্পতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ, রাজস্বও বেশি
বনবিভাগের পাস ও গাইড ফি বেড়েছে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। পাশাপাশি ট্রলার ভাড়াও ঊর্ধ্বমুখী। একদিনের জন্য বুড়িগোয়ালিনি থেকে কলাগাছিয়া পর্যন্ত ট্রলার ভাড়া পড়ছে ১৮০০ টাকা, সঙ্গে যোগ হচ্ছে পাস ফি, গাইড ফি, প্রবেশ ফি ইত্যাদি। তিন দিনের ভ্রমণে একজন পর্যটকের খরচ পড়ছে ৭,৫০০ থেকে ৯,০০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ট্রলার ভাড়া নির্ধারিত থাকে পুরো নৌযানের জন্য। একজন যাক বা ১৫ জন, খরচ একই। ফলে একা বা দুইজন পর্যটক গেলে তাদের জন্য খরচ অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুই বন্ধু মিলে সুন্দরবন দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুরো ট্রলার ভাড়া দিতে হবে শুনে ইচ্ছা চলে গেলো। খুলনা বা মোংলা থেকে গেলে কম খরচে করমজলসহ বেশ কিছু জায়গা ঘোরা যায়।’
অনুমতির জটিলতা আর সময়ক্ষেপণ
সাতক্ষীরা রেঞ্জে তিন দিনের সফরে যেতে হলে পাস পারমিট নিতে খুলনায় যেতে হয়। স্থানীয় পর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ পারমিট সেবা চালু না থাকায় পর্যটকদের সময়, অর্থ ও যাতায়াতে বাড়তি চাপ পড়ছে।
আরও পড়ুন-
তিন বছর পর উন্মুক্ত কেওক্রাডং পর্বত, পর্যটকের ভিড়
সুন্দরবনের হাড়বাড়িয়া পর্যটন কেন্দ্রের ফুট ট্রেইলে বাঘের বিচরণ
স্থানীয় ট্যুর অপারেটর মিজান সরদার জাগো নিউজকে বলেন, খুলনায় গিয়ে পারমিট করতে হয়। এতে অন্তত একদিন নষ্ট হয়ে যায়, বাড়তি খরচ তো আছেই। পর্যটকরা এসব ঝামেলায় যেতে চায় না।
যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যটনের বড় অন্তরায়
সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। বর্তমানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি অবস্থায়, ধুলোবালি উড়ছে সর্বত্র, ফলে যান চলাচল ধীরগতি। রাস্তাটি ভাঙা-চোরা হওয়ায় সাতক্ষীরা শহর থেকে বুড়িগোয়ালিনি পর্যন্ত যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। আরও বড় সমস্যা হলো- সাতক্ষীরা থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত কোনো বাস সার্ভিস নেই।
শ্যামনগরের স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন বলেন, রাস্তা যেমন খারাপ, তেমনি সরাসরি যানবাহনও নেই। একাধিক যানবাহন বদলে যেতে হয়। ফলে পরিবার নিয়ে যাওয়া কষ্টকর।
পর্যটন অবকাঠামো চরম ঘাটতি
খুলনা রেঞ্জে করমজল বা হারবাড়িয়ার মতো সাজানো পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও সাতক্ষীরা রেঞ্জে সেরকম কিছু নেই। এখানে নেই কোনো তথ্যকেন্দ্র, পর্যটক বিশ্রামাগার কিংবা সরকারি লজ। এমনকি পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য স্থায়ী বনপ্রহরী টহলও খুব সীমিত।

স্থানীয় পরিবেশকর্মী জাকির হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জ সুন্দরবনের সবচেয়ে জীববৈচিত্র্যপূর্ণ অংশ। এখানে হরিণ, বাঘ, কুমির, নানা প্রজাতির পাখি দেখা যায়। কিন্তু পর্যটন বিকাশে কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রশাসন বা ট্যুরিজম বোর্ড কেউই উদ্যোগ নিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি পর্যটনবান্ধব নীতিমালা করা যায়, তাহলে এখানকার মানুষদের বিকল্প জীবিকা যেমন তৈরি হবে, তেমনি রাজস্বও বাড়বে।’
রাজস্ব কমে বনবিভাগের মাথাব্যথা
গত বছরের একই সময় সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল প্রায় ৮ লাখ টাকা। কিন্তু এবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মিলিয়ে আদায় হয়েছে মাত্র ৩ লাখ টাকার মতো। ফলে বনবিভাগের বার্ষিক রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও হুমকির মুখে।
আরও পড়ুন-
নিষেধাজ্ঞার ৩ মাসে সহায়তার চাল পাননি উপকূলের জেলেরা, মানবেতর জীবন
তিনমাস বন্ধ থাকার পর মধ্যরাতে খুলছে সুন্দরবন
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজস্ব কমলে আমাদের সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজেও প্রভাব পড়ে। পর্যটন না বাড়লে এই পরিস্থিতি সামলানো কঠিন হবে।’
পর্যটন বিকাশে প্রয়োজন পরিকল্পনা ও প্রচারণা
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাতক্ষীরা রেঞ্জে পর্যটন বিকাশে সরকারের সার্বিক পরিকল্পনার অভাবই মূল বাধা। এখানে পর্যটন করিডর তৈরি, সড়ক উন্নয়ন, মানসম্মত জলযান সংযোজন, স্থানীয় গাইড প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা জোরদার ও ডিজিটাল প্রচারণা বাড়ানো গেলে পর্যটন ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাতক্ষীরা রেঞ্জে টেকসই পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন চাইলে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ছোট আকারের ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার তৈরি করতে পারে। এতে বন সংরক্ষণও হবে, অর্থনীতিও সচল হবে।’
মুন্সিগঞ্জ ট্যুরিস্ট ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আনিছুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আগের তুলনায় এখন কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। জেটি আর টয়লেট নির্মাণ হয়েছে, এতে পর্যটকদের কিছুটা সুবিধা হচ্ছে। কিন্তু গাড়ি পার্কিং, রেস্টুরেন্ট আর থাকার মতো হোটেল না থাকায় তারা বেশ কষ্টে পড়েন। যারা দূরদূরান্ত থেকে আসেন, তাদের জন্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেরাই ট্রলারগুলো সংস্কার করি, ভাড়া দিই। সরকারিভাবে কোনো সহায়তা পাই না। পর্যটন মৌসুমে কোস্টগার্ড, বনবিভাগ, প্রশাসন, সব দিকেই অনুমতির ঝামেলা পোহাতে হয়। কেউ এক জায়গায় অনুমতি দেয়, অন্য জায়গায় আটকে দেয়। এতে পর্যটকরা বিরক্ত হয়, আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হই।’
তিনি বলেন, ‘পর্যটকরা সকালে আসে, বিকেলে ফিরে যায়, রাতের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কেউ থাকতে চায় না। অথচ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে যদি কিছু ভালো মানের রেস্টুরেন্ট ও গেস্ট হাউস তৈরি হতো- তাহলে পর্যটন ব্যবসা অনেক বাড়ত।’
আনিছুর রহমানের দাবি, এখন সুন্দরবনে যাওয়ার সবচেয়ে বড় ঘাট মুন্সিগঞ্জ। অথচ এখানকার সুযোগ-সুবিধা এখনো ন্যূনতম পর্যায়ে। সরকার একটু মনোযোগ দিলে, এখানকার মানুষই সুন্দরবনকেন্দ্রিক বড় একটা পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পারবে।
সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকার সবসময় খুলনা ও মোংলাকে কেন্দ্র করে পর্যটন উন্নয়ন করছে, কিন্তু সাতক্ষীরা রেঞ্জ চরমভাবে অবহেলিত। সুন্দরবনের সবচেয়ে প্রাণবৈচিত্র্যপূর্ণ অংশ এই অঞ্চলে হলেও একে এখনো সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র বা পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। এটাই সবচেয়ে বড় বৈষম্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি সাতক্ষীরা রেঞ্জকে জাতীয় পর্যটন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হতো, তাহলে এখানে অবকাঠামো, রাস্তা, জলযান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত হতো। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এসব বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও রাজস্ব, সবখানেই ক্ষতি হচ্ছে।’
অ্যাডভোকেট বেলাল আরও যোগ করেন, ‘সরকারি বিনিয়োগ বা পর্যটন করপোরেশনের মনোযোগ এখানে খুব কম। অথচ স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন শিল্প বিকাশের দাবি জানিয়ে আসছে। যদি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র, ইকো-রিসোর্ট বা নদীপথে নিরাপদ যাতায়াতের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে সাতক্ষীরা রেঞ্জ খুলনা-মোংলার চেয়েও জনপ্রিয় গন্তব্য হতে পারে।’
তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশাসন, বনবিভাগ ও পর্যটন বোর্ডকে বারবার অনুরোধ করেছি সাতক্ষীরা রেঞ্জকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণার জন্য। এটা শুধু পর্যটনের স্বার্থে নয়, বরং উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবিকা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত।
সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মনিরুল ইসলাম মিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাতক্ষীরায় অনেক উদ্যোক্তা সুন্দরবন ঘিরে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কিন্তু বাস্তবে ব্যাংকগুলো এই খাতে লোন দিতে আগ্রহ দেখায় না। আবার সরকারি অনুমতি পেতেও নানা প্রশাসনিক জটিলতার মুখে পড়তে হয়।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পরিবেশের কথা বলে সবাই পর্যটন বিনিয়োগের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। কিন্তু মানুষতো সারা বিশ্বেই প্রকৃতি আর পরিবেশ দেখতে যায়, তাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলো চলে কীভাবে? সেখানের পরিবেশ নষ্ট হয় না?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে পর্যটন খাতটিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টর’ হিসেবে দেখা হয়। অথচ এই খাত যদি সুষ্ঠুভাবে পরিকল্পনা করে গড়ে তোলা যায়, তাহলে শুধু রাজস্ব নয়, স্থানীয় অর্থনীতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। কর্মসংস্থান বাড়বে, স্থানীয় পণ্যের বিক্রি বাড়বে, এমনকি নারীদের অংশগ্রহণও নিশ্চিত করা সম্ভব।’
মনিরুল ইসলাম মিনি মনে করেন, সরকার চাইলে খুব সহজেই সাতক্ষীরা রেঞ্জের পর্যটন খাতকে সম্ভাবনার খাত হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এজন্য প্রয়োজন ব্যাংক ঋণ সহজ করা, প্রশাসনিক অনুমতি প্রক্রিয়া সংক্ষিপ্ত করা, আর বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন করা।
সার্বিক বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবন পর্যটনের সম্ভাবনা অনেক বেশি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন এবং যাতায়াত ব্যবস্থা আধুনিকায়নে কাজ শুরু করেছি। শ্যামনগর পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প শেষ হলে পর্যটকদের জন্য যাতায়াত আরও সহজ হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ও তথ্যসেবাতেও আধুনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই পর্যটকরা যেন নিরাপদ ও আরামদায়কভাবে সুন্দরবন ঘুরে দেখতে পারেন। এজন্য স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যটন সেবা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছি। জেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির সভায় বিষয়টি অগ্রাধিকারভিত্তিতে আলোচনায় আনা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক যোগ করেন, পর্যটন শুধু বিনোদনের জন্য নয়, এটি স্থানীয় অর্থনীতিরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুন্দরবনকে ঘিরে টেকসই ইকো-ট্যুরিজম গড়ে তুলতে আমরা সরকারিভাবে নীতিগত সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এফএ/এমএস

11 hours ago
7









English (US) ·