পর্যবেক্ষকদের চোখ দুষ্ট হলে ইসির নির্বাচন দেখাটাও সঠিক হবে না
রাজনীতি ও দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের পর্যবেক্ষক নিয়োগ না দেওয়ার জন্য দেশি সংস্থাগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক পরিচিতিমূলক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই নির্বাচন দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন সিইসি। নির্বাচন ভবনে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ চলছে। ৮১ টি প্রতিষ্ঠানকে এবার নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। দিনব্যাপী সংলাপে সকালে ৪১টি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নির্বাচন কমিশনের সহযোগী। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি দেখতে চাই। সেই সঙ্গে সংস্থাগুলোর নিয়োগ করা মাঠকর্মীরা যাতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বা প্রচারণায় যুক্ত না হন, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সিইসি বলেন, জাতিকে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার যে ওয়াদা নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তা কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে মিলে এ
রাজনীতি ও দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের পর্যবেক্ষক নিয়োগ না দেওয়ার জন্য দেশি সংস্থাগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে এক পরিচিতিমূলক সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই নির্বাচন দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন সিইসি।
নির্বাচন ভবনে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ চলছে। ৮১ টি প্রতিষ্ঠানকে এবার নিবন্ধন দিয়েছে ইসি। দিনব্যাপী সংলাপে সকালে ৪১টি সংস্থাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নির্বাচন কমিশনের সহযোগী। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি দেখতে চাই।
সেই সঙ্গে সংস্থাগুলোর নিয়োগ করা মাঠকর্মীরা যাতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বা প্রচারণায় যুক্ত না হন, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
সিইসি বলেন, জাতিকে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার যে ওয়াদা নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, তা কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে মিলে এই জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা আপনাদের চোখ দিয়েও এই ইলেকশনটা দেখতে চাই। কারণ আপনাদের চোখ যদি দুষ্ট হয়, প্রপার না হয়, আমাদের নির্বাচনের দেখাটাও কিন্তু সঠিক হবে না।
প্রশিক্ষণের তাগিদ দিয়ে সিইসি জানান, পর্যবেক্ষণের জন্য যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, বিশেষত নতুনদের, তাদের অবিলম্বে নির্বাচন ও নির্বাচনি ব্যবস্থা সম্পর্কে ওরিয়েন্টেশন এবং প্রশিক্ষণ দিতে হবে। মাঠকর্মীদের কর্মকাণ্ডই সংস্থার সুনাম (গুডউইল) এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করবে।
এছাড়া রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের পারফরম্যান্স আইন অনুযায়ী হচ্ছে কি না, নির্বাচনী আচরণবিধি মানা হচ্ছে কি না, এসব বিষয়ে মাঠের বাস্তবতার ভিত্তিতে রিপোর্ট দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
সিইসি বলেন, যদি কোনো ম্যানেজমেন্ট বা প্রসিডিউরাল ল্যাপস থাকে, তবে পর্যবেক্ষকদের দেওয়া সুপারিশ ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সংস্কার ও উন্নত করতে সহায়ক হবে। পর্যবেক্ষকদের নিরপেক্ষতার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লে সবকিছু ড্যামেজ হয়ে যাবে।
সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা যাদেরকে এঙ্গেজ করবেন, তারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে, কোনো পার্টির সঙ্গে জড়িত আছে কি না, লিংক আছে কি না, মিছিল-মিটিংয়ে গিয়েছে বা জড়িত আছে, এরকম কাউকে দয়া করে নিয়োগ দেবেন না। পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব হবে টু অবজার্ভ, নট টু ইন্টারভেন (পর্যবেক্ষণ করা, হস্তক্ষেপ না করা)। কোনো অনিয়ম হলে তা বন্ধ করা তার কাজ নয় বরং রিপোর্ট করাই তার প্রধান দায়িত্ব।
সিইসির মতে, ভোটে সিসি ক্যামেরা হলো পর্যবেক্ষক এবং তার সিসি ক্যামেরা হলো সাংবাদিকরা। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং পর্যবেক্ষকদের এখানে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানান তিনি।
একটি ভালো নির্বাচন আয়োজন আমাদের দায়িত্ব। আমাদের এজেন্ডা একটাই, একটি ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। অনেক পুরোনো সংগঠন আছেন, যারা অতীতেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অতীত ঘাটাঘাটি করার প্রয়োজন নেই, আমি সবসময় সামনের দিকে তাকাতে চাই। ভুল-ভ্রান্তি অতীতে অনেক হয়েছে, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
পর্যবেক্ষকরা যাতে ভোটকে প্রভাবিত না করে সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার নির্দেশ সিইসির। তিনি বলেন, তারা যাতে ভোটারকে প্রভাবিত না করে, এই মার্কায় ভোট দিন, ওই মার্কায় ভোট দিন, এ ধরনের কিছু যেন না করে। তাদের বুঝিয়ে বলবেন, তাদের কাজ পর্যবেক্ষণ করা, হস্তক্ষেপ করা নয়। অনিয়ম হলে সেটি বন্ধ করা তাদের দায়িত্ব নয়, দায়িত্ব হলো রিপোর্ট করা।
সিইসি সবার সহযোগিতা নিয়ে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এমওএস/এসএনআর/জেআইএম
What's Your Reaction?