পলাতক আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, জানাল ইসি

2 hours ago 4

ফেরারি আসামি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আদালত ঘোষিত ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।'

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

ইসি বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) খসড়া চূড়ান্ত করে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।’

নির্বাচনী খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থী ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা কিংবা আসনপ্রতি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সুযোগ থাকছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘কেউ নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পরেও হলফনামার তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংসদ সদস্যপদ বাতিল হবে। সংসদ সদস্য প্রার্থীদের জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।’

মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘দুই প্রার্থীর ভোট সংখ্যা সমান হয়ে গেলে লটারি নয়, পুনরায় ভোট হবে। নির্বাচনী পোস্টার বাতিল করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ও এআই ব্যবহার করে আচরণবিধি ভঙ্গের কাজগুলো করা যাবে না।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞার বিষয় তিনি বলেন, ‘সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আওতায় ধরা হচ্ছে।’

ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, ‘এবার থেকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নয়, বরং জেলা নির্বাচন অফিসারই ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করবেন।’

প্রসঙ্গত, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনি আইন সংস্কার নিয়ে মাসখানেক ধরে দফায় দফায় পর্যালোচনা করে ইসি। এরপর আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ইসি, যাতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়।

আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং হলে সরকারের অনুমোদনের জন্য তা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন হবে। সেই ধাপ পেরিয়ে রাষ্ট্রপতি সংশোধনীর অধ্যাদেশ জারি করবে। অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের সায় পাওয়ার পর আচরণবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করবে ইসি।

Read Entire Article