পলাশের গান শুনে কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান জুলাই শহীদের মা

1 month ago 8

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে চলছে ‘৩৬ জুলাই উদ্‌যাপন’। সেখানে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে ফ্যাসিস্টের পলায়ন উদযাপন করা হয়। তারপর শূন্য ব্যন্ডদল বেশ কয়েকটি গান শোনান।

এরপর জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পলাশসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী মঞ্চে উঠেন। এসময় পলাশ ‘মাগো তুমি আমার আগে যেও নাগো মরে’ গানটি গেয়ে শোনান। সেই গানের আবেগে জুলাই আন্দোলনে নিহত এক শহীদের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় তার হাতে ছিল সেই শহীদ ছেলের ছবি। কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে মঞ্চে পড়ে যান তিনি। পরে সেই মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১২টায় ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’র শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তারা একে একে পরিবেশন করে ‘এই দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘আয় তারুণ্য আয়’, ‘জীবনের গল্প’, ‘ওমা আর কেঁদো না’, ‘যাদের জন্য পেলাম আবার নতুন বাংলাদেশ’, ‘জারিগান’সহ ইসলামিক সংগীত।

এরপর ‘কলরব শিল্পীগোষ্ঠী’ পরিবেশন করে ‘তোমার কুদরতী পায়ে’, ‘দে দে পাল তুলে দে’, ‘ধন ধান্য পুষ্পভরা’, ‘ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি’ ও ‘দিল্লি না ঢাকা’।

কণ্ঠশিল্পী নাহিদ পরিবেশন করেন ‘পলাশীর প্রান্তর’ ও ‘৩৬ জুলাই’ গানগুলো। এরপর কণ্ঠশিল্পী তাশফি ‘নোঙর তোল তোল’, ‘তুমি প্রিয় কবিতা’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘চল চল’ ও ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানগুলো পরিবেশন করেন।

আরও সংগীত পরিবেশন করেন ‘চিটাগাং হিপহপ হুড’, র‌্যাপার সেজান, ব্যান্ডদল শূন্য, কণ্ঠশিল্পী ইথুন বাবু ও মৌসুমি।

আসর নামাজের বিরতির পর ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৩০ থেকে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে স্পেশাল ড্রোন ড্রামা শো ‘ডু ইউ মিস মি?’। ড্রামাটি লিখেছে ‘দ্য অ্যানোনিমাস’। বাংলাদেশ সরকার ও চীন সরকার কর্তৃক যৌথভাবে এই ‘ড্রোন শো’তে প্রায় ২০০০ ড্রোন উড্ডয়নের মাধ্যমে জুলাইয়ের গল্প তুলে ধরা হবে। জুলাইয়ে ঢাকাসহ সারা দেশের ছাত্র-জনতা যেভাবে স্রোতের মতো বেরিয়ে এসে আন্দোলনে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটায় এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে- সেই জীবন্ত মুহূর্ত ও স্লোগান এবং গ্রাফিতিগুলো ‘ড্রোন শো’ এর মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে।

অনুষ্ঠানের শেষার্ধে মঞ্চে উঠবে ব্যান্ডদল ‘আর্টসেল’।

এমআই/এলআইএ/জেআইএম

Read Entire Article