গাজার বাস্তচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আক্ষেপ করে বলেছেন, পশুরাও তাদের চেয়ে ভালো জীবন কাটাচ্ছে। গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা বলছেন, তাদের পরিস্থিতি হতাশাজনক এবং তাদের আশ্রয়ের জন্য কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। খবর আল জাজিরার।
আহমেদ হাব্বুশ নামের এক বাসিন্দা বলেন, পরিস্থিতি খুবই কঠিন। বেশিরভাগ মানুষের কাছে চলাচলের জন্য পরিবহন খরচও নেই। তিনি বলেন, এটা কোনো জীবন নয়, আমরা ক্লান্ত। পশুরাও আমাদের চেয়ে ভালো জীবনযাপন করছে।
৬২ বছর বয়সী খালেদ ইমাদ বলেন, ইসরায়েলের হুমকি এবং তীব্রতর হামলার পর তিনি পায়ে হেঁটেই শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি হাঁটতে থাকবো। আমি জানি না কী হচ্ছে। এই দরিদ্র, ক্লান্ত, মৃত্যুমুখে পতিত মানুষদের বাঁচাতে বিশ্ব কোনো পদক্ষেপ নিতে চায় না।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় একদিনে নিহত হয়েছে আরও ৫৩ ফিলিস্তিনি। এদিকে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় ১৬টি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে যার মধ্যে তিনটি আবাসিক টাওয়ারও রয়েছে। ইসরায়েল গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য তাদের অভিযান জোরদার করেছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ আবারও গৃহহীন হয়ে পড়েছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার নিহত হওয়া লোকজনের মধ্যে অন্তত ৩৫ জনই গাজা সিটির। এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, নতুন করে আরও দুজন অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছে। ফলে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২২ জনে।
গাজা সিটির দক্ষিণের রেমাল পাড়ার আল-কাওসার টাওয়ার লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী মিসাইল হামলা চালিয়েছে এবং দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভবনটি ধ্বংস হয়ে গেছে। টানা বোমাবর্ষণে হাজার হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি মারওয়ান আল-সাফি বলেন, আমরা কোথায় যাব জানি না। আমরা এখানে মরছি। আমাদের সমাধান দরকার।
টিটিএন