পশ্চিম তীরে ১৯ অবৈধ বসতির অনুমোদন ইসরায়েলের

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণে আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরজুড়ে ১৯টি বসতি স্থাপনকারীদের আউটপোস্টকে বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। এই সিদ্ধান্তের আওতায় ১৯টি আউটপোস্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ ঘোষণা ও নতুনভাবে প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আউটপোস্ট রয়েছে যেগুলো ২০০৫ সালের গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলের তথাকথিত ‘ডিসএনগেজমেন্ট পরিকল্পনা’র সময় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেন, ইসরায়েলের সব ধরনের বসতি কার্যক্রম অবৈধ এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক বৈধতা সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলোর সরাসরি লঙ্ঘন। উল্লেখ্য, এসব আউটপোস্ট শুধু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীই নয় বরং ইসরায়েলের নিজস্ব আইন অনুসারেও অবৈধ। সাধারণত ভবিষ্যতে সরকারিভাবে অনুমোদন পাওয়ার লক্ষ্যেই বসতি স্থাপনকারীরা এসব আউটপোস্ট গড়ে তোলে। নতুন করে বৈধতা পাওয়া অনেক আউটপোস্টই পশ্চিম তীরের ভেতরের এলাকায় অবস্থিত যা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলছে। ফিলিস্তিনের ‘কলোনাইজেশন অ্য

পশ্চিম তীরে ১৯ অবৈধ বসতির অনুমোদন ইসরায়েলের

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণে আরেকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরজুড়ে ১৯টি বসতি স্থাপনকারীদের আউটপোস্টকে বৈধতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা।

এই সিদ্ধান্তের আওতায় ১৯টি আউটপোস্টকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ ঘোষণা ও নতুনভাবে প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আউটপোস্ট রয়েছে যেগুলো ২০০৫ সালের গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ইসরায়েলের তথাকথিত ‘ডিসএনগেজমেন্ট পরিকল্পনা’র সময় সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেন, ইসরায়েলের সব ধরনের বসতি কার্যক্রম অবৈধ এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক বৈধতা সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলোর সরাসরি লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, এসব আউটপোস্ট শুধু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীই নয় বরং ইসরায়েলের নিজস্ব আইন অনুসারেও অবৈধ। সাধারণত ভবিষ্যতে সরকারিভাবে অনুমোদন পাওয়ার লক্ষ্যেই বসতি স্থাপনকারীরা এসব আউটপোস্ট গড়ে তোলে। নতুন করে বৈধতা পাওয়া অনেক আউটপোস্টই পশ্চিম তীরের ভেতরের এলাকায় অবস্থিত যা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে আরও বিচ্ছিন্ন করে তুলছে।

ফিলিস্তিনের ‘কলোনাইজেশন অ্যান্ড ওয়াল রেজিস্ট্যান্স কমিশন’-এর প্রধান মুয়ায়্যাদ শাবান এই সিদ্ধান্তকে একটি বিপজ্জনক উত্তেজনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয় যে দখলদার সরকার ফিলিস্তিনি ভূমিতে সংযুক্তীকরণ, বর্ণবাদ এবং পূর্ণমাত্রার ইহুদিকরণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়।

এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েল ২২টি নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা দেয়। বসতি পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন পিস নাউ জানায়, এটি গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বসতি সম্প্রসারণের ঘোষণা। এছাড়া বুধবার (১০ ডিসেম্বর) পশ্চিম তীরের তিনটি পৃথক বসতিতে প্রায় ৮০০টি নতুন আবাসন ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়।

পিস নাউ বলেছে, এসব সিদ্ধান্ত একটি সুপরিকল্পিত ধারা অনুসরণ করছে যার উদ্দেশ্য বসতিগুলোতে পরিকল্পনা প্রক্রিয়াকে ‘স্বাভাবিক’ করে তোলা এবং আন্তর্জাতিক মহলের নজর ও সমালোচনা কমিয়ে আনা।

সূত্র : সিএনএন

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow