রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইউনিয়নের বয়রাট গ্রামে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইসহ সাতজন আহত হয়েছে। প্রায় ৭০-৮০ জনের সংঘবদ্ধ একদল দুর্বৃত্ত এ হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস, তার স্ত্রী শায়লা বেগম, ভাই আব্দুর রহিম, সাজেদুর রহমান ডাবলু, এনামুল হক বাবলু, ভাতিজা ফুরকান, ভাতিজি সিনথীয়া আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মুনা বিশ্বাস ও তার স্ত্রীসহ ৫ জন ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গেলে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই এনামুল হক বাবলু বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ৭০-৮০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রথমে গেইট ভেঙে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে। এরপর ঘরের ৬টি দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আমার ভাই (চেয়ারম্যান), ভাবি, আব্দুর রহিম, ডাবলু, ভাতিজা ও ভাতিজিকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এসময় ঘরের সমস্ত মালামাল ভাঙচুর করে নগদ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার ও ৩টি মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। তারা আমাকে ও ভাতিজি সিনথিয়াকে হকিস্টিক এবং হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। আওয়ামী লীগ করায় আমাদের পরিবারের উপর এই ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী ও ভাইসহ গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সরকারি হাসপাতাল। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা।
এদিকে হামলার ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। হামলার সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন হামলার শিকার পরিবারের স্বজন ও স্থানীয়রা।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আহতদের মধ্যে ৫ জন ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।