পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) টানাপোড়েন যেন থামছেই না। একদিকে আইসিসি এবং বিসিসিআই-এর সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিতর্কে চলছে দ্বন্দ্ব, অন্যদিকে নতুন করে তৈরি হয়েছে আরেকটি সংকট। এবার দলের লাল বলের প্রধান কোচ জেসন গিলেস্পি দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সফরে দলের সঙ্গে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে পিসিবির কিছু সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার গিলেস্পি। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুবাই হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি বিমানে ওঠেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে পিসিবির কাছে জানতে চাওয়া হলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে পিসিবির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তিতে লাল বলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন গিলেস্পি। তার অধীনে পাকিস্তান টেস্ট দলে মিশ্র ফলাফল দেখা গিয়েছে। ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হারলেও, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জিতেছিল দলটি। তবে ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন গিলেস্পিকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থেকে দূরে রাখা হয়েছিল, যা তাকে ক্ষুব্ধ করেছে। সর্বশেষ পিসিবি সহকারী কোচ টিম নিলসনের চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্তই গিলেস্পির ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে।
গিলেস্পির পদত্যাগের ঘটনা গ্যারি কারস্টেনের বিদায়ের পরপরই ঘটল। চলতি বছরের এপ্রিলে গিলেস্পির সঙ্গে কারস্টেনকেও হোয়াইট বলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই গত অক্টোবরে কারস্টেনও পিসিবি ছেড়ে চলে যান। পরপর দুইজন বিদেশি কোচের বিদায় পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য একটি অশনি সংকেত, যা ভবিষ্যতে নতুন বিদেশি কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে পিসিবির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
এ পরিস্থিতিতে সাবেক পাকিস্তানি পেসার আকিব জাভেদকে অন্তর্বর্তীকালীন টেস্ট কোচের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আকিব বর্তমানে হোয়াইট বল দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বে রয়েছেন এবং আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত তার চুক্তি রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন, যেখানে পাকিস্তান দল তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি ওডিআই ম্যাচের পাশাপাশি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে দুটি টেস্ট খেলবে।
টেস্ট দুটি অনুষ্ঠিত হবে সেঞ্চুরিয়নে ২৬ ডিসেম্বর এবং কেপটাউনে ৩ জানুয়ারি।