পাকিস্তানকে ভারতের বোন ভাবতেন ধর্মেন্দ্র, সেখানেও নেমেছে শোক
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র দেওল আর নেই। ৮৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার মৃত্যুতে ভারত ও পাকিস্তানসহ পুরো উপমহাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা কর্মজীবনে ধর্মেন্দ্র তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘শোলে’, ‘ফুল অউর পাথর’, ‘চুপকে চুপকে’সহ অসংখ্য ছবিতে তার অভিনয় তাকে অমর করে রেখেছে। ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে পাকিস্তান থেকেও উঠে এসেছে আবেগঘন শোকবার্তা। ২০০৪ সালে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়া অভিনেত্রী রীমা খান লিখেছেন, ‘সিনেমা আজ তার হৃদস্পন্দন হারালো। ধর্মেন্দ্রর আলো কোনোদিন নিভে যাবে না।’ আরও পড়ুনধর্মেন্দ্রর রেখে যাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ কতধর্মেন্দ্রর নায়িকারা সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘তার যাত্রা, তার শিল্প, তার সৌন্দর্য কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এক সত্যিকারের কিংবদন্তি কখনো মারা যান না। তিনি তার রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারেই চিরজীবী।’ অভিনেত্রী মাহিরা খান সামাজিক মাধ্যমে কি
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র দেওল আর নেই। ৮৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাসের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার মৃত্যুতে ভারত ও পাকিস্তানসহ পুরো উপমহাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা কর্মজীবনে ধর্মেন্দ্র তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ‘শোলে’, ‘ফুল অউর পাথর’, ‘চুপকে চুপকে’সহ অসংখ্য ছবিতে তার অভিনয় তাকে অমর করে রেখেছে।
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে পাকিস্তান থেকেও উঠে এসেছে আবেগঘন শোকবার্তা। ২০০৪ সালে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়া অভিনেত্রী রীমা খান লিখেছেন, ‘সিনেমা আজ তার হৃদস্পন্দন হারালো। ধর্মেন্দ্রর আলো কোনোদিন নিভে যাবে না।’
আরও পড়ুন
ধর্মেন্দ্রর রেখে যাওয়া সম্পত্তির পরিমাণ কত
ধর্মেন্দ্রর নায়িকারা
সংগীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘তার যাত্রা, তার শিল্প, তার সৌন্দর্য কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। এক সত্যিকারের কিংবদন্তি কখনো মারা যান না। তিনি তার রেখে যাওয়া উত্তরাধিকারেই চিরজীবী।’
অভিনেত্রী মাহিরা খান সামাজিক মাধ্যমে কিংবদন্তির একাধিক ছবি পোস্ট করে প্রিয় অভিনেতাকে সম্মান জানান।
অভিনেতা আদনান সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘অভিনয়কে এত সহজ লাগত কারণ তিনি অভিনয়ের জন্যই যেন জন্মেছিলেন। তার কোমলতা, তার সৌন্দর্য, তার চোখের ঝিলিক- সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন অনন্য।’
উপস্থাপক আনুশে আশরাফ স্মরণ করেন তাদের বাবা-মায়ের প্রজন্মে ধর্মেন্দ্রর অশেষ জনপ্রিয়তা এবং তার সময়ের সেই মানবিক, ভালোবাসাময় বিশ্বের কথা।
পাকিস্তানের প্রতি ধর্মেন্দ্রর মমত্ববোধ ছিল গভীর। এনডিটিভি একটি পুরোনো ভিডিও তুলে ধরেছে যেখানে তিনি পাকিস্তানকে ডাকছেন ‘মৌসি মা’ বা মায়ের বোন বলে। একই ভিডিওতে তিনি ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও সুন্দর হোক, এমন আশাবাদও ব্যক্ত করেছিলেন।
ধর্মেন্দ্রর কথায়, ‘যদি ভারত আমার মা হয়, তবে পাকিস্তান আমার মৌসি মা। দুই মা যদি একে অপরকে আলিঙ্গন করে, তাহলে আমরা সন্তানেরা শান্তিতে বাঁচতে পারি।’
কিংবদন্তির বিদায়ে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেই ভক্তরা আজ স্মরণ করছে একজন সত্যিকারের মানবিক, শিল্পপ্রিয়, স্মার্ট ও অনন্য নায়ককে।
এলআইএ/এমএস
What's Your Reaction?