পাকিস্তানে ভূমিকম্প, রাতভর আতঙ্ক

1 week ago 14
পাকিস্তানে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে কেঁপে উঠেছে রাজধানী ইসলামাবাদ, উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়া, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আজাদ কাশ্মীরসহ বেশ কিছু অঞ্চল। মঙ্গলবার রাতে ভূমিকম্প অনুভূত হলে সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আফটার শকের আশঙ্কায় লোকজন বাড়ির বাইরে এসে অবস্থান নেন। অবশ্য পরে কোনো বড় কম্পন অনুভূত হয়নি। সম্প্রতি পাকিস্তানে বারবার ভূমিকম্প হচ্ছে। চার দিন আগে দেশটিতে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। তখন খাইবার পাখতুনখোয়া, ইসলামাবাদ ও রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এ ছাড়া আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষ নিহতের পর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পাকিস্তানিদের মনে ভয় ঢুকেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিওনিউজ জানায়, মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি, রাজধানী ইসলামাবাদ, খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ার, আপার দির, মালাকান্ড, বাজাউর, চিত্রল, মুরি, আজাদ কাশ্মীরের সামাহনি, ভিমবের এবং অন্যান্য অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে নিহত বা ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।  পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের (পিএমডি) অধীন সংস্থা ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং সেন্টার জানিয়েছে, আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ২৩৪ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল । হিমালয় পর্বতমালার যে অংশটি আফগানিস্তানে প্রবেশ করেছে, সেটিই হিন্দুকুশ পবর্তমালা হিসেবে পরিচিত। সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের দুর্গম পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার এক বিশাল ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। যার ফলে ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার আহত হয়েছিল। ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, মারদান, চিত্রাল, মুরি এবং সংলগ্ন অঞ্চলগুলোসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি অংশে পরবর্তী দিনগুলোতে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। তখন লাহোর পর্যন্ত এর প্রভাব অনুভূত হয়েছিল। জুন মাসে করাচিতে একাধিক কম্পন অনুভূত হয়। এক মাসে এই সংখ্যা কমপক্ষে ৫৭টিতে পৌঁছে। প্রধান আবহাওয়াবিদ আমির হায়দার ব্যাখ্যা করে বলেন, কয়েক দশক পরে লান্দি ফল্ট লাইন পুনরায় সক্রিয় হওয়ার কারণে এই কম্পনগুলো ঘটেছে।
Read Entire Article