এবারের এশিয়া কাপে প্রথম দেখায় ভারতের কাছে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে সালমান আলি আগাদের ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারতীয় দল। ম্যাচটি দেখে মনে হয়েছে, ভৌগোলিকভাবে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ এখন কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ।
শুধু ভারতই নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচেও দাপট দেখাতে পারেনি পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে মাত্র ১৪৯ রান করেছিল মাইক হেসনের শিষ্যরা। যদিও ম্যাচটি ৪১ জিতেছিল ম্যান ইন গ্রিনরা।
পাকিস্তান দলের টানা ব্যর্থতায় তীব্র সমালোচনা করেছেন ভারতে সাবেক ক্রিকেটার মদন লাল। তার দাবি, পাকিস্তানের বর্তমান দল কোনো ক্লাসের মধ্যেই পড়ে না।
মদল লাল বলেন, ‘তাদের দেশের অবস্থা দেখুন, তারা সবকিছুতেই ভুগছে। একসময় তাদের এত প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছিল, কিন্তু গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে তাদের দলের মান একেবারেই নেই। বর্তমান যে দল খেলছে, তাতে কোনো ক্লাস নেই। তারা যেভাবে ব্যাট করছে, আমি জীবনে কোনো পাকিস্তান দলকে এমন ব্যাট করতে দেখিনি।’
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ের চেয়ে এখন বাইরের বিষয়গুলোই বেশি উত্তাপ ছড়ায়। যেমন- গেল ১৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগার সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এ নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে সমালোচনার তির ছুঁড়েছেন।
সূর্যকুমার হাত না মেলানোয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে টুর্নামেন্ট থেকে সরানোর দাবি তুলেছিল। তবে আইসিসি তাদের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করলে পিসিবি হুমকি দেয় যে তারা আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে না। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঠিকই। তবে খেলা শুরু হয়েছে এক ঘণ্টা দেরিতে।
এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ বয়কটের সিদ্ধান্তকে পিসিবির অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও অযৌক্তিক দাবি করে সমালোচনা করেন মদন লাল।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আত্মসমর্পণ করেছে, কারণ তাদের দাবি ছিল অযৌক্তিক। প্রথমত, আমরা কেন তাদের সঙ্গে হাত মেলাব, এটা কোনো নিয়মবইয়ে লেখা নেই। দ্বিতীয়ত, কেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে সরানো হবে? পাকিস্তানের অনেক মানুষ একটি বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করে, আর যদি আপনি পিসিবির অবস্থা দেখেন, বোর্ডটাই নেই বললেই চলে। তারা হুটহাট সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভীষণ সতর্ক হতে হবে।’
আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ না খেলার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি খেলতে না যান, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন নিজেরাই। পাকিস্তান যদি ইউএই ম্যাচ বয়কট করতো, তবে নিজেদের ক্রিকেটের অপূরণীয় ক্ষতি করতো।’
এমএইচ/এএসএম