ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রচুর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভিসা প্রাপ্তিতে জটিলতা, শুল্ক বিষয়ক প্রতিবন্ধকতা, পণ্য পরিবহনে সরাসরি যোগাযোগ স্বল্পতা ও বন্দর সুবিধার অপর্যাপ্ততার কারণে দুই দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি, যার নিরসন একান্ত অপরিহার্য।
এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি পিটিএ ও এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সৌজন্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক দ্বিপাক্ষিক মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফপিসিসিআই)’র সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ-এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সভায় অংশগ্রহণ করে।
প্রতিনিধিদলকে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রচুর সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ভিসা প্রাপ্তিতে জটিলতা, শুল্ক বিষয়ক প্রতিবন্ধকতা, পণ্য পরিবহনে সরাসরি যোগাযোগ স্বল্পতা ও বন্দর সুবিধার অপর্যাপ্ততার কারণে দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তিনি পিটিএ ও এফটিএ স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।
ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বারর্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফপিসিসিআই)-এর সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ পাকিস্তান থেকে কৃষি পণ্য, চাল, সিরামিকসহ অন্যান্য পণ্য আরও বেশি হারে আমদানির জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তাছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ও মোবাইল ফিন্যান্সিং খাতে সম্প্রতি বাংলাদেশ বেশ উন্নতি করেছে উল্লেখ করে আতিফ ইকরাম বলেন, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দুদেশের ব্যবসায়ীরা যৌথ বিনিয়োগে কাজ করতে পারেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, এফপিসিসিআই-এর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সাকিব ফায়াজ মাগুন, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালেম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এসআরএস/এমএইচআর