পারমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া!

3 hours ago 7

সামরিক বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম উপকূলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো তদারকির সময় এ নির্দেশ দেন তিনি। শত্রুরা সংঘাতের পরিবেশকে লালন করছে এবং উসকে দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন কিম। 

দেশটির সরকারি গণমাধ্যম ‘কেসিএনএ’ জানিয়েছে, বুধবার বেশকিছু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তাদের সেনারা। এই উৎক্ষেপণ সরাসরি তদারকি করেন প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। সে সময় তিনি সামরিক বাহিনীকে পারমাণবিক হামলা চালানোর প্রস্তুতির নির্দেশ দেন। 

ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে কিম বলেন, যেসব শত্রু উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে- তাদের সতর্ক করতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পরীক্ষা এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা দেখানো হয়েছে। শক্তিশালী আঘাত করার ক্ষমতাই নিখুঁত প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার প্রমাণ দেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কিম বলেন, শত্রুদের ওপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা আমাদের কর্তব্য। নির্ভরযোগ্য পারমাণবিক ঢাল দিয়ে জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা স্থায়ীভাবে রক্ষা করা গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (ডিপিআরকে) পারমাণবিক সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে আমরা সদা প্রস্তুত থাকব। 

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা বুধবার সকাল থেকেই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে উত্তরের প্রস্তুতি টের পায় এবং স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের গতিপথের দিকে নজর রাখে।

পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রভাণ্ডারে যোগ করতে উত্তর কোরিয়া বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। তবে তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে অবশ্য আন্তর্জাতিক মহলকে খুব একটা চিন্তিত দেখা যাচ্ছে না, কারণ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে তাদের ওপর কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা নেই। 

তবে দেশটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলে আন্তর্জাতিক মহল তীব্র নিন্দা জানায়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নিষিদ্ধ করেছে। এসব নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করায় দেশটির ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাতিসংঘ। 
 

Read Entire Article