পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০ স্কুলে এবছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ

2 months ago 5

সব সংকট অতিদ্রুত নিরসন করে চলতি বছরের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত ১০০ স্কুলে ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে ভার্চুয়াল পড়াশোনা চালুর ক্ষেত্রে তিন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেখানে দুর্গম এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে, ইন্টারনেট সংযোগ নেই এবং এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ওই এলাকায় দক্ষ শিক্ষকের অভাব।

এক্ষেত্রে সোলার প্যানেল ব্যবহার করে বিদ্যুতের ঘাটতি নিরসন এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক ও স্টারলিংক পরিষেবা ব্যবহার করে সংকট মোকাবিলার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি দক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি পূরণে স্কুলের তালিকা করে সেসব স্কুলে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগেরও পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে প্রথমে একশ স্কুলের তালিকা তৈরি করতে হবে, যেখানে ইন্টারনেট বেজড স্কুল শুরুর ব্যবস্থা করতে হবে। কোন স্কুলে কীসের ঘাটতি, ইন্টারনেট সংযোগ, সরঞ্জাম ইত্যাদি কী কী লাগবে- সব তালিকা করে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করতে হবে। চলতি বছরের মধ্যেই ক্লাস শুরু করতে হবে।

তিনি বলেন, যেসব দক্ষ শিক্ষক শহরের বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ান তারাই অনলাইনে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছেলেমেয়েদের গণিত, বিজ্ঞান ও ইংলিশ পড়াবেন। তাহলে সেখানকার ছেলেমেয়েরাও আর পিছিয়ে থাকবে না। ভালো শিক্ষক ও পড়াশোনার সুযোগ-সুবিধা পেলে অনেক মেধাবী ছেলেমেয়ে সেখান থেকে উঠে আসবে।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তিন পার্বত্য উপজেলায় জীবন-জীবিকার মান উন্নত করা ও পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনার নির্দেশ দেন।

এমইউ/কেএসআর/জিকেএস

Read Entire Article