গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে রোববার (৬ এপ্রিল) ভোরে একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলা করে দখলদার ইসরায়েল। এতে অন্তত নয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যান ভবনটির বাসিন্দা জামাল আল-মধৌন।
তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, কীভাবে মৃত্যু থেকে ফিরে এসেছেন এবং তার চোখের সামনে কীভাবে নারী ও শিশুরা প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন>>
জামাল বলেন, আমরা তখন শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলাম... হঠাৎ সব ঘর গুঁড়িয়ে গেলো; ছাদ ধসে পড়লো নিরীহ নারী ও শিশুদের মাথার ওপর। এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে, যেগুলো পর্বতকে ছাই করে দিতে পারে—তা ছোঁড়া হচ্ছে শিশুদের ওপর।
তিনি আরও জানান, আমরা আটটি মরদেহ টেনে বের করেছি—সবই নারী ও শিশু। একজনও পুরুষ ছিল না।
জামাল অভিযোগ করেন, তারা (ইসরায়েল) বলছে, তারা নাকি যোদ্ধাদের লক্ষ্য করছে। সব মিথ্যা কথা। তাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে— মুসলিম পরিচয়ধারী যেকোনো মানুষকে হত্যা করা। ওই নিরীহ নারী-শিশুরা সবাই ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
খান ইউনিস শহর কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলার মুখে রয়েছে। তবে বেসামরিক প্রাণহানির বিষয়ে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/