পিই নেমেছে সাড়ে ১৩’র নিচে

1 month ago 28

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাম্প্রতিক সময় ভালো যায়নি। প্রায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে বাজার পতনের মধ্যে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই) সাড়ে ১৩’র নিচে নেমে গেছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি নির্ণয় করা হয় মূল্য আয় অনুপাত দিয়ে। সাধারণত ১০-১৫ পিইকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিমুক্ত ধরা হয়। আর কোনো কোম্পানির পিই ১০-এর নিচে চলে গেলে, ওই কোম্পানির শেয়ার দাম অবমূল্যায়িত বা বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ ধরা হয়।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত অনেক আগেই ১৫-এর নিচে নেমেছে। সম্প্রতি সময়ের দরপতনের কারণে এখন সার্বিক পিই দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট। আর ছয়টি খাতের পিই ১৫-এর নিচে রয়েছে।

আগের মতো সবচেয়ে কম পিই রয়েছে ব্যাংক খাতের। বর্তমানে এই খাতের পিই রয়েছে ৬ দশমিক ১০ পয়েন্টে। ১০ দশমিক ৬০ পিই নিয়ে এর পরের স্থানে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত। সর্বনিম্ন পিই’র তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এই খাতের পিই ১০ দশমকি ৯০ শতাংশ।

অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি পিই রয়েছে পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের। বর্তমানে এ খাতের পিই দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ১০ পয়েন্টে। ৩৯ দশমিক ১০ পিই নিয়ে সর্বোচ্চ পিই’র তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। এ তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা চামড়া খাতের পিই ৩৫ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।

বাকি খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ১৩ দশমিক ৪০ পয়েন্ট, ওষুধ খাতের পিই ১৫ দশমিক ৫০ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই ১৪ দশমিক ৬০ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের পিই ১৭ দশমিক ৩০ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের পিই ১৮ দশমিক ৭০ পয়েন্ট এবং সাধারণ বিমা খাতের পিই ১৯ দশমিক ৯০ পয়েন্টে রয়েছে।

বাকি খাতগুলোর পিই ২০-এর ওপরে। বস্ত্র খাতের পিই ২২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট, পাট খাতের পিই ২২ দশমিক ৮০ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতের ২৭ দশমিক ৬০ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের পিই ২৭ দশমিক ৮০ পয়েন্ট এবং আইটি খাতের পিই ২৯ দশমিক ৭০ পয়েন্টে রয়েছে।

এমএএস/এমএইচআর/এমএস

Read Entire Article