পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠার যে গল্প শোনালেন প্রধান উপদেষ্টা

2 hours ago 1

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-২ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি বেসরকারি পর্যায়ে পরিচালিত সফল এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠা ও সফলতার গল্প তুলে ধরেন।

স্মৃতিচারণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পিকেএসএফের এমন একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল না। ঘটনাচক্র এটা হয়েছে। ওই সময়ে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে একটি প্রকল্পে ২৪ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল। তৎকালীন এরশাদ সরকারের পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এই টাকাটা কী করবে তা নিয়ে জানতে মতামত চাওয়া হয়। আমি এটা কার দরকার নেই জানাই এবং টাকাটা ফেরত দেয়ার কথা বলে দেই। আমি বলেছিলাম, এ টাকাটা অনর্থক, টাকাটা নষ্ট হবে। টাকাটা খেয়ে ফেলবে। যেভাবে প্রকল্পটা বানানো হয়েছে খেয়ে ফেলা হবে। বিশ্বব্যাংক এটার পেছনে লেগে রইলো। ওই প্রজেক্টের টাকা দেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংক তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদের সঙ্গে পর্যন্ত যোগাযোগ করে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, প্রেসিডেন্ট এরশাদ তাকে তলব করেন এবং তার কাছে জানতে চান কেন টাকা নিতে বাধা দিচ্ছেন এবং কেন তিনি এই টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছেন। তিনি (ড. ইউনূস) এরশাদকে বুঝিয়ে বলার পর সাবেক প্রেসিডেন্ট টাকাটা ফেরত না দিয়ে কীভাবে সৎভাবে ব্যবহার করা যায় সে ব্যাপারে পরামর্শ চান। কোনো একটা বুদ্ধি বের করে তাকে জানাতে বলেন। তিনি সময় চেয়ে নিয়ে পরে দুই পৃষ্ঠায় টাকাটা কীভাবে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় সেটা লিখে দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় মাইক্রোক্রেডিটের টাকার অভাব ছিল। তিনি বিশ্বব্যাংকের টাকাটা একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এনজিওদের ধার হিসেবে দিয়ে তা পরিশোধ করে কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন।

স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, তখন বোধহয় জেনারেল মুনিম অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ওনাকে সভাপতি করে এবং আমাকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। প্রথমে তিনি এ প্রতিষ্ঠানটির নাম কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন প্রস্তাব করেছিলেন। ওই সময় পরিকল্পনা কমিশনে কর্মরত ও কমিটির সদস্য কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে পল্লী শব্দটি জুড়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয় পিকেএসএফ।

এমইউ/এএমএ/জেআইএম

Read Entire Article