পুরানের ঝড়ে আফগানিস্তানের সামনে রান পাহাড় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

3 months ago 45

এই বিশ্বকাপে রান করা বেশ কঠিনই হয়ে পড়েছিল ব্যাটারদের জন্য। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা হলেন ব্যতিক্রম। নিকোলাস পুরান ঝড় তুললেন, এক ওভারেই তিনি নিলেন ৩৬ রান। যদিও খুব কাছে গিয়েও পাননি সেঞ্চুরি। তবে এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ পেয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা।

মঙ্গলবার গ্রস আইসলেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘সি’ এর ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান করেছে ক্যারিবীয়রা।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্মক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও দ্বিতীয় ওভারে গিয়েই ব্রেন্ডন কিংকে ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৬ বলে ৭ রান করে তিনি হযে যান বোল্ড। এরপর ক্রিজে আসেন নিকোলাস পুরান।

আফগানিস্তানের দুঃস্বপ্নের শুরুও হয় ওখানেই। ফজল হক ফারুকীর তৃতীয় ওভারে ১৫ রান এনে দেন জনসন চার্লস। পুরান আজমতউল্লাহ করার পরের ওভারে নেন ৩৬ রান! সব অবশ্য ব্যাট থেকে আসেনি। তিনটি ছক্কা ও দুটি চার হাঁকান পুরান। এর সঙ্গে নো বল, ওয়াইড, লেগ বাই মিলিয়ে আসে বাকি রান।

এক ওভারে ৩৬ রান হজম করার তালিকায় পাঁচ নম্বর নাম এখন ওমরাজাইয়ের। এর আগে ২০০৭ সালে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে প্রথমবার যুবরাজ সিং ৩৬ রান নিয়েছিলেন। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ৯২ রান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান এটি পাওয়ার প্লেতে।

অষ্টম ওভারে গিয়ে আরও একটি উইকেট তুলে নেয় আফগানিস্তান। এবার ২৭ বলে ৪৩ রান করা চার্লসের ক্যাচ নেন গুলবাদিন নাইব। নাবিন উল হকের বলে আউট হন তিনি। মাঝের ওভারগুলোতে রানের গতি কিছুটা কমে আসে।

গুলবাদিন নাইবের ওভারে ১৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন শাই হোপ। শেষদিকে গিয়ে ফের ঝড় তোলেন পুরান। রশিদ খানের করা ১৮তম ওভার থেকে ২৪ রান নেন তিনি। নাভিনের করা ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম তিনটির দুটিতে ছক্কা হাঁকান।

পৌঁছে যান ৯৮ রানে। কিন্তু রান আউট হয়ে আর সেঞ্চুরি পূর্ণ করা হয়নি তার। ৫৩ বলে ৬টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৯৮ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসেরও পঞ্চম সর্বোচ্চ দলীয় রান এটি।

আইএইচএস/জেআইএম

Read Entire Article