পুরো দেশই আমাদের নিয়ে গর্বিত: উগান্ডা অধিনায়ক

5 months ago 70

৪ জুন তারিখটা উগান্ডার ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয়ই হয়ে থাকার কথা। এদিনই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে তারা। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সবকিছু মিলিয়েই যেটি তাদের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ।

এ নিয়ে উগান্ডার ক্রিকেটারদের রোমাঞ্চটা স্বাভাবিকই। তবে দলটির অধিনায়ক ব্রায়ান মুসাবা জানিয়েছেন, শুধু তারা নয় পুরো দেশই তাকিয়ে আছে উগান্ডার ক্রিকেটারদের দিকে। দেশটিতে এখন ছুয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটের রোমাঞ্চ। এজন্য বিশ্বকাপে ভালো শুরুর আশায় আছেন মুসাবা।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য অনেক বড় ম্যাচ, বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম ম্যাচ, উগান্ডার ইতিহাসেই এটা প্রথম। আমরা খুবই রোমাঞ্চিত ম্যাচটা খেলার জন্য। অবশ্যই কিছুটা নার্ভাসনেস আছে কিন্তু আমাদের মনোযোগ খেলায় রাখতে হবে। চেষ্টা করতে হবে আমাদের যে ফল দরকার, সেটা বের করে নেওয়ার কারণ আমাদের টুর্নামেন্টের শুরুটা ঠিক পথে ভালো ফল নিয়ে করতে হবে।’

‘আমাদের দেশে এখন অনেক রোমাঞ্চ কাজ করছে। এটা কেবল আমাদের প্রথম বিশ্বকাপই নয়, উগান্ডার তৃতীয় খেলা হিসেবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছি আমরা। এটা কোনো ছোট অর্জন নয়। শুধু ক্রিকেট কমিউনিটিই না, অন্য খেলার মানুষ ও এমনকি সরকারও আমাদের সমর্থন দিচ্ছে।’

বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে জায়গা করে নিয়েছে উগান্ডা। যেখানে তারা হারিয়েছে জিম্বাবুয়েকে। ওই অঞ্চল থেকে নামিবিয়ার সঙ্গে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় তারা। দলের এমন অর্জনে পুরো দেশই গর্বিত বলে জানিয়েছেন মুসাবা।

তিনি বলেন, ‘এই দলটা যা অর্জন করেছে এজন্য পুরো দেশই গর্বিত। তারা চায়, আমরা গর্বের সঙ্গে আমাদের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করি। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় দায়িত্ব। এটা এখন শুধু ক্রিকেটের ব্যাপারই নয়, আমরা পুরো দেশের আশাই পেছনে বয়ে বেড়াচ্ছি।’

এবারের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও আফগানিস্তানের ‘এ’ গ্রুপে আছে উগান্ডা। এই গ্রুপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেশ চাপেই ফেলে দিয়েছিল পাপুয়া নিউগিনি। শেষ অবধি অবশ্য তারা হেরে যায় ৫ উইকেটে। তবে ম্যাচটি থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন মুসাবা।

তিনি বলেন, ‘পাপুয়া নিউগিনির ওই ম্যাচটা আমরা খুব ভালোভাবে দেখছিলাম। এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে আমাদের তেমন ধারণা নেই, এজন্য আমাদের ওই ম্যাচ থেকে তথ্য নিতে হতো। পাপুয়া নিউগিনি যেভাবে খেলেছে, আমাদের জন্য এটা একটা ভালো ব্যাপার। তারা দেখিয়েছে, পার্থক্যটা কিছু মানুষ যত বড় ভাবে তত না।’

‘আমি বিশ্বাস করি যদি কিছু ছোট দেশকে সুযোগ দেওয়া হয় খেলার, তারা বড় দলগুলোর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়তে পারবে। যেভাবে পাপুয়া নিউগিনি খেলেছে, আমরা খুব খুশি। তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি করতেই আমরা আগামীকাল চেষ্টা করবো।’

আইএইচএস/জিকেএস

Read Entire Article