পুরো দেশকে ঢেলে সাজাতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব পালনের জন্য যতদিন দরকার ততদিনই থাকবে তারা।
রোববার (১১ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম দিন অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় কথা জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমরা পুরো দেশকে ঢেলে সাজাতে চাই। সেটা ব্যক্তির জায়গা থেকে নয় যে একজন ব্যক্তিকে পরিবর্তন করে দিলাম আর হয়ে গেল। আমরা সিস্টেমটাকে ঢেলে সাজাতে চাই। আমরা এমন একটি সিস্টেম গড়ে দিতে চাই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে যাতে যে ব্যক্তি আসুক সে সিস্টেম ফলো করার মাধ্যমে এই যে দুর্নীতির কথা বলছেন, অনিয়মের কথা বলছেন সেগুলো যেন আর কখনো ফিরে আসতে না পারে।’
আরও পড়ুন
- ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
- নির্দিষ্ট তারিখের পর কাজে না ফিরলে পুলিশ সদস্যদের পলাতক ঘোষণা
- চাঁদাবাজির কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যায়: ফরিদা আখতার
এই সরকার কতদিন থাকবে এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘থাকতে চাওয়ার বিষয় নেই। এখানে বাংলাদেশের জনগণ একটি স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে এবং একটি রিফরমেশনের দাবিতে যে অভ্যুত্থান হয়েছে তার ভিত্তিতে আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করব। আমরা যতদিন দরকার ততদিনই থাকব এই দায়িত্ব পালন করার জন্য। আমাদের যারা আছেন অন্তর্বর্তী সরকারে, কারোরই আসলে ক্ষমতা ধরে রাখার, ক্ষমতায় থাকার অভিলাসটা নেই। আপনারা দেখতে পারেন সেখানে শিক্ষক আছেন, মানবাধিকার কর্মীরা আছেন, আমরা ছাত্ররা আছি।’
আজ মন্ত্রণালয়ে এসে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম হচ্ছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে। আমরা এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে একটা ম্যাসাকারের সাথে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। হাজার-সহস্র ছাত্র-জনতা মারা গেছে। আমরা মনে করি তিনি এর সাথে সরাসরি যুক্ত। সে জায়গা থেকে, এটা শুধু আমাদের মন্ত্রণালয় নয়, প্রতিটি স্থানে এটা করা হবে। শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট করছি। এ বিষয়ে প্রসেস চলমান থাকবে এবং খুব দ্রুত এটা কমপ্লিট হবে।’
এমএমএআর/এমএস