পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. রেজাউল ইসলাম ওরফে হিমেল (৪০), সেলি বেগম ওরফে শিলা বেগম (২৮), মো. মুক্তাজুল সরকার (৩৪), মো. মারুফ হাসান (২৫), নূর মোহাম্মদ (৩৫) ও মো. মাহমুদ হাসান (২৬)।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জানুয়ারি খিলগাঁওয়ের নবীনবাগ তিতাস রোডের রবিন এন্টারপ্রাইজ নামের দোকান থেকে শাহান আলীকে (৫০) তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। রেজাউল ও সেলি বেগমসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১৫ জন জোর করে তাকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যান।
- আরও পড়ুন
জাতীয় কবির নাতি বাবুল কাজী অগ্নিদগ্ধ, আইসিইউতে ভর্তি
বান্দরবানে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
শাহান আলীকে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা কারণ জিজ্ঞাসা করলে দুইজন নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখান। এরপর ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক মোবাইল নম্বর থেকে ভুক্তভোগী শাহান আলীর পুত্রবধূর মোবাইল নম্বরে ফোন করে মুক্তিপণ বাবদ দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।
দাবি করা মুক্তিপণের টাকা না দিলে শাহান আলীকে হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলার হুমকি দেন অপহরণকারীরা। ১৬ জানুয়ারি অপহৃত শাহান আলীর ভাগ্নে মো. সোহেল রানার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করা হয়।
ডিসি তালেবুর রহমান আরও জানান, তদন্তাধীন এ মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নিবিড় তদন্ত ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় দ্রুত সময়ে অপহৃত শাহান আলীর অবস্থান নিশ্চিত করে খিলগাঁও থানা পুলিশ।
এরপর শুক্রবার কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণকারী মো. রেজাউল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কান্দিরপাড়া এলাকা থেকে শাহান আলীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার নিবিড় তদন্ত ও ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ডিসি তালেবুর রহমান।
টিটি/কেএসআর/জেআইএম