পুলিশকে আমলে না নিলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ হবে অসম্ভব

3 weeks ago 16

গণপিটুনি নিয়ে লিখতে চাইছিলাম না, কেমন যেন গা-সওয়া অপরাধ হয়ে উঠেছে। দেশে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পরপর দুই/তিনটি ঘটনা এতোটাই ভয়াবহ, যা অতীতের সকল ভয়াবহতাকে ছাপিয়ে গেছে, যেমন রূপলাল দাস ও প্রদীপ দাস। সম্পর্কে তাঁরা ছিলেন জামাই-শ্বশুর। ভ্যান চোর সন্দেহে তাদের দুজনকে পৈশাচিকভাবে মারধর করার পর, যখন তাদের মরো মরো অবস্থা, সেই অবস্থাতে পুলিশ তাদের রক্ষা করতে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে বাধা দিয়েছে এবং রুপলাল আর প্রদীপকে বাঁচাতে দেয়নি। বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করেও ক্ষমা পায়নি।

মধ্যরাতে মাতাল ব্যক্তির মাতলামির অনেক কাহিনি প্রচলিত আছে। কিন্তু মাতলামির দায়ে মধ্যরাতে কোনো মাতালকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়নি। লালবাগে ঠিক তাই ঘটেছে দু-দিন আগে। মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশকে ডাকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। সেই পুলিশই যদি মানুষকে বাঁচাতে না পেরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কার কাছে আশ্রয় চাইবেন? মানুষ বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছে। অপরাধীদের কত বড় দুঃসাহস যে পুলিশকে গণপিটুনির ভয় দেখায়। এই অমানুষগুলোর সাহসের উৎস কী? কে তাদের রক্ষা করছে? তাদের কোনো ব্যক্তি রক্ষা করছে না, তাদের শেল্টার দিচ্ছে দুর্বল আইনি ব্যবস্থা। যদি বলি সরকার এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনো অ্যাকশন নিচ্ছে না, তাও খুব একটা বাড়িয়ে বলা হবে না। এই দুর্বলতার সুযোগে সাধারণ মানুষও সন্ত্রাসী হয়ে উঠছে।

মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর ২২৫টি মব হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে ৭০টি বড় ধরনের আলোচনা তৈরি করে। পুলিশের এই পরিসংখ্যানের বাইরেও সড়কে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিরূপ আচরণের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মব তৈরি করে হামলাগুলো করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেশাদার অপরাধী ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও মব তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। পুলিশের উপর এধরনের সংঘবদ্ধ হামলা খুবই ভয়াবহ পরিণাম বয়ে আনবে।

রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কোথাও সহনশীলতা নেই। এখানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। তৈরি হয়েছে আইনের প্রতি অনাস্থা। গুজব ও সন্দেহের বশবর্তী হয়ে উন্মত্ত জনতা সন্দেহভাজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। সন্দেহভাজনকে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে জনসাধারণ নিজেরাই বিচারের দায়িত্ব নিয়েছে, যা পুরোপুরি আইনবহির্ভূত বিষয়। বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অবিশ্বাসের কারণে ঘটতে পারে মবোক্রেসি বা উচ্ছৃঙ্খল গণবিচার।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধীরা পুলিশকে ভয় না পেলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে ছিনতাইকারী, মাদক কারবারিরাও যখন মব তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলা করে, তখন এটি উদ্বেগের বিষয়। পুলিশের হাত থেকে অপরাধী ছিনিয়ে নেয়াও চলছে। পুলিশের হেফাজতে থাকার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করা হচ্ছে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে অন্তত ১৩টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৯ জন, আহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ১১১ জন মানুষ ‘মব’ বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন। আগস্টের প্রথম ১০ দিনের ১৩টি গণপিটুনির ঘটনা তথ্য অনুযায়ী ৮টিতেই চোর সন্দেহে মারধর করা হয়েছে। বাকি পাঁচটি ঘটনার কোনোটি চাঁদাবাজি, কোনোটি পূর্বশত্রুতার কারণে, কোনোটি বিরোধ থেকে ঘটানো হয়েছে।

এই প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পান না। যেমন পান নাই রুপলাল ও তার জামাই। উচ্ছৃঙ্খল জনতা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। মব জাস্টিসের মাধ্যমে কোনো ন্যায়বিচার হয় না। কারণ, এখানে সাক্ষী, বিচারক ও শাস্তিদাতা সহ সবকিছুর ভূমিকায় থাকে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। তারা যা খুশি তাই করতে পারে।

দেশের মানুষ মব হামলার ভয়ে কুঁকড়ে উঠেছে, মানুষ খুবই উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক জরিপে উঠে এসেছে, মব সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন মানুষের হার ৮০ শতাংশ। উত্তরদাতাদের মধ্যে উচ্চমধ্যবিত্ত ও বিত্তবানেরা ছিলেন না, মতামত দিয়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে আদালত পর্যন্ত সবখানে মব ভীতি গেড়ে বসেছে। এইকারণে সাধারণ মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছেন। বুঝতে পারছেন না কে, কখন, কেন মব হামলার শিকার হবেন? শিকার হলে কার কাছে সাহায্যের জন্য যাবেন? শুধু তো মারপিট নয়, যখন-তখন কারও বাড়িতে ঢুকে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। আটকের পর কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনাও ঘটছে।

এছাড়া কোথাও কোথাও কাউকে পদত্যাগে করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কাউকে জুতার মালা পরিয়ে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে। মব জাস্টিসের হাত থেকে কেউ রক্ষা পাচ্ছেন না। রাজনীতিবিদ, পুলিশ, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। এছাড়াও হামলা এবং ভাঙচুর হয়েছে ভাস্কর্য, মাজার, স্থাপনা ও শিল্পকারখানায়। কেন মব সন্ত্রাস লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে? দেশ ও পরিস্থিতি ভেদে মব জাস্টিসের কারণ ভিন্ন হতে পারে। তবে এর পেছনে মূল একটি কারণ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা হ্রাস পাওয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেছেন “যখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি বেড়ে যায়, তখন মানুষও মানুষের প্রতি সহিংস হয়ে ওঠে।”(প্রথম আলো)। সরকারও মব সন্ত্রাস নিয়ে চিন্তিত ঠিকই কিন্তু সরকারের দিক থেকে এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না, যেটা মব সন্ত্রাস থামাতে পারছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও কয়েক শতক আগে মব সন্ত্রাসের উদাহরণ দেখা যায়।

ইউরোপে ফরাসি বিপ্লবের সময় ১৭৮৯ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত যে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল, তার একটি বড় বৈশিষ্ট্য ছিল মব জাস্টিস। সে সময় প্যারিসের বাস্তিল দুর্গে হামলা চালিয়েছিল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়েছিল বহু মানুষকে। এ ছাড়া বড় জাতিগত হত্যা, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, গুরুতর অপরাধ, দুর্নীতি এসব ঘটনার পর উত্তেজিত মানুষের হাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নিপীড়ন ও হত্যার নজির বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে। এগুলোও উত্তেজিত জনতার নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়ার বা মব জাস্টিসের উদাহরণ। যেমন রিলিফ ওয়েবের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডা গণহত্যার পর ওই গণহত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অনেককে হত্যা করেছিল উত্তেজিত জনতা। (প্রথম আলো)

যারা গণপিটুনিতে অংশ নিচ্ছে, তারা অধিকাংশ সময় ভিক্টিমকে চেনে না এবং মারার সঠিক কারণও জানে না, জানে শুধু মারামারিতে অংশ নিতে হবে। এখানে সাধারণত কোনো পরিকল্পনাও থাকে না। যে-সব মানুষ একা কাউকে হত্যা করার বা পিটানোর সুযোগ ও সাহস পায়না, তখন সে অপেক্ষায় থাকে মনের ক্ষোভ মেটানোর একটা সুযোগ কখন আসবে। এলেই মারামারিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে, কারণ যাই থাক।

আমাদের দেশে খুব বেড়ে গেছে বিদ্বেষজাত অপরাধ বা ‘হেইট ক্রাইম’। নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে দেওয়া বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার পরেই জনতা ছুটে যায়, সেই ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়ার জন্য। ধর্ম অবমাননার দোহাই দিয়ে এহেন অপরাধ চলতেই থাকে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফ্রিকার কয়েকটি দেশে হেইট ক্রাইম চলছে। অশিক্ষা, কুশিক্ষা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, সাম্প্রদায়িক চিন্তা এর পেছনে দায়ী। কিছুদিন আগে রংপুরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে একজন সনাতনী কিশোরকে আটক করা হয়। সেইসাথে সনাতনী সম্প্রদায়ের অনেকে বাড়িঘর লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়। এরকম অসংখ্য নজির আছে।

আশির দশকে রংপুর থেকে আমাদের বাসায় হেল্পিং হ্যান্ড হিসেবে এলো বেলাল। সপ্তাহান্তে বিটিভিতে বাংলা সিনেমা দেখাতো। সিনেমাতে হিরো যখন ভিলেনকে মারতো, বেলাল তখন মবের পক্ষ নিয়ে দর্শক হিসেবেই সেই মারামারিতে উৎসাহ দিতো। রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় বলে উঠতো, “পিটা, আরো পিটা ক্যানে। আউশ করি পিটা, মারি ফ্যাল ওমারলাক।”

বেলালের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ঐটাতো সিনেমা, তাও তুই এতো উত্তেজিত কেন?” বললো, বুজান হাতের কাছে ওমাক (ভিলেন) পাছোনা তো। পালি পর পিটি সিদা বানে দিতাম।” ভিলেনকে এই সিদা বানানোর ব্যাপারটাই হচ্ছে আজকের গণপিটুনিদাতাদের মানসিকতা। এখানে যাকে পিটানো হচ্ছে, ধরেই নেয়া হয় সেই ব্যক্তি অপরাধী। তাই কোনোরকম খোঁজ না নিয়েই একদঙ্গল লোক ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষকে হত্যা করার জন্য। আমরা এই বেলালীয় মনোভাব থেকে মুক্তি চাই।

রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কোথাও সহনশীলতা নেই। এখানে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। তৈরি হয়েছে আইনের প্রতি অনাস্থা। গুজব ও সন্দেহের বশবর্তী হয়ে উন্মত্ত জনতা সন্দেহভাজনকে পিটিয়ে মেরে ফেলছে। সন্দেহভাজনকে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে জনসাধারণ নিজেরাই বিচারের দায়িত্ব নিয়েছে, যা পুরোপুরি আইনবহির্ভূত বিষয়। বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থাহীনতা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অবিশ্বাসের কারণে ঘটতে পারে মবোক্রেসি বা উচ্ছৃঙ্খল গণবিচার।

কিছু মানুষ মনে করেন, অপরাধীরা হয়তো আইনের আওতায় আসবে না বা উপযুক্ত শাস্তি পাবে না, তাই তারা নিজেরাই বিচার নিজে করার চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে শত্রুতার অনুভূতি বেড়ে যায়, যা মানুষকে আরো হিংস্র করে তোলে।

এখন আমরা ‘মবোক্রেসি’ বলতে যা বুঝি, এইটা তাই। "মব মেন্টালিটি" এমন একটি মনস্তাত্বিক অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি ভিড়ের মধ্যে নিজের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, এবং সবার সঙ্গে সহিংস কার্যকলাপে অংশ নেন, যা তারা একা কখনো করতো না। একে "ডিফিউশন অব রেসপন্সিবিলিটি" বলা হয়। যেখানে একাধিক ব্যক্তির মধ্যে দায় ভাগ হয়ে যায়, এবং একক ব্যক্তির উপর দায় কমে যায়।

চার্লস-মারি গুস্তাভ লে বন একজন ফরাসি পলিম্যাথ। ১৮৯৫ সালে প্রকাশিত ’দ্য ক্রাউড: এ স্টাডি অব দ্য পপুলার মাইন্ড’ বইতে তিনি বিশ্লেষণ করেছেন ভিড়ের মনোবিজ্ঞান বা মনস্তত্ত্ব বিষয়টিকে। বইটিতে, লে বন বলেছেন ভিড়ের মধ্যে মিশে যাওয়া মানুষের মনের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমন: "আবেগ, বিরক্তি, যুক্তিতে অক্ষমতা, সমালোচনামূলক আত্মার বিচারের অনুপস্থিতি, অনুভূতির অতিরঞ্জন এবং অন্যান্য”।

তিনি বলেন, "একজন ব্যক্তি কিছু সময়ের জন্য ভিড়ের মধ্যে ঢুকে যায় এবং শীঘ্রই নিজেকে খুঁজে পায়। ভিড়ের চৌম্বকীয় প্রভাবের ফলে বা এধরনেরই অন্য কোনো কারণে ভিড়ের মধ্যে থাকা ব্যক্তি সম্মোহিতের মতো আচরণ করেন এবং সেই সম্মোহিত ব্যক্তি নিজেকে একসময় হিপনোটাইজারের হাতে খুঁজে পান।" এই ভিড়ের মানুষগুলো একসময় আলাদা আলাদা মনোভাব প্রকাশ করলেও, যখন তারা ভিড়ের মধ্যে মিশে যান, তখন তারা এক রাজনৈতিক চরিত্র হয়ে যান।

১৯ আগস্ট ২০২৫

লেখক : যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।

এইচআর/এএসএম

Read Entire Article