পূবাইলে ভাড়া বাসা থেকে প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার
গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানার মাজুখান এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে শাহানা বেগম (৫৭) নামের এক প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে মাজুখান পশ্চিমপাড়া এলাকার ‘ফাগুনী’ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহানা বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহানা বেগম ঢাকার রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকার আবদুল আজিজ খানের স্ত্রী। চাকরির সুবাদে তিনি দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে পূবাইলের মাজুখান এলাকার ওই ভবনে একাই ভাড়া থাকতেন এবং সেখান থেকেই নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতেন। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পূবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষিকাকে বাসা থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি ঘরের ভেতর থেকেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় শনিবার সকালে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরিবারের
গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানার মাজুখান এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে শাহানা বেগম (৫৭) নামের এক প্রধান শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে মাজুখান পশ্চিমপাড়া এলাকার ‘ফাগুনী’ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহানা বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহানা বেগম ঢাকার রামপুরা থানার বনশ্রী এলাকার আবদুল আজিজ খানের স্ত্রী। চাকরির সুবাদে তিনি দীর্ঘ প্রায় চার বছর ধরে পূবাইলের মাজুখান এলাকার ওই ভবনে একাই ভাড়া থাকতেন এবং সেখান থেকেই নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতেন।
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে পূবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ওই শিক্ষিকাকে বাসা থেকে বের হতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি ঘরের ভেতর থেকেও কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় শনিবার সকালে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শাহানা বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর ছেলে তাওসির আহমেদ খান অনিক পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন এবং ইতিপূর্বে তাঁর হৃদযন্ত্রে রিং (স্টেন্ট) বসানো হয়েছিল। যেহেতু তিনি বাসায় একা থাকতেন, তাই ধারণা করা হচ্ছে—হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি মারা গেছেন এবং সাহায্য চাওয়ার সুযোগ পাননি।
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বা হৃদরোগে মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এ ঘটনায় পূবাইল থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একজন শিক্ষিকার এমন আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবার, সহকর্মী এবং এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
What's Your Reaction?