পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প উৎস হতে পারে মিশর: রাষ্ট্রদূত

1 month ago 18

বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি এমন মতামত দেন।

রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের হিমায়িত খাদ্য, চিংড়ি এবং সুস্বাদু আম ইউরোপসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে, যা মিশরেও রপ্তানি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ প্রভৃতি পণ্য আরও বেশি আমদানির জন্য মিশরের উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের নদী ভিত্তিক পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মিশরের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর জোরারোপ করেন তিনি।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মিশরীয় পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে জানান ডিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে একক ও যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশন আয়োজনের পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সমঝোতা স্মারক সইয়ের ওপর জোরারোপ করেন আশরাফ আহমেদ।

এসময় মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনো আশানুরূপ পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৮০ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মিশর থেকে পেট্রোকেমিক্যাল এবং সার আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, মিশরীয় তথ্যপ্রযুক্তি ভিক্তিক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে মিশরের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

 রাষ্ট্রদূতডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পখাতে ক্রমাগত উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে। মিশরের বাজারে ক্যানসারের ওষুধের বেশ চাহিদা রয়েছে, যার সুযোগ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা নিতে পারেন।

তিনি বলেন, সুয়েজ খাল ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অধিকাংশ পণ্য ইউরোপসহ সমগ্র পৃথিবীতে রপ্তানি হচ্ছে। তবে মিশরকে ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে আফ্রিকার বাজারে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি বাড়াতে পারে। এছাড়াও, বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং ঢাকার মিশর দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সোহেলা মাহরিন।

কেএসআর/এএসএম

Read Entire Article