পেনশনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি

3 months ago 47

সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণকে সুপার গ্রেডে অন্তর্ভূক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি। এতে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের তিন শতাধিক শিক্ষক।

মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সরকারের সঞ্চালনায় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, শিক্ষকদের আজ অনেক জায়গায় সুযোগ-সুবিধা নেই। যা ছিল তাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। শিক্ষকরা যখন এর প্রতিবাদ ফুঁসে উঠেছে তখন সরকারের কাছ থেকে বলা হচ্ছে, আপনাদের দৌড় কতদূর তা দেখা যাবে। আমরা যেন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা।যা ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি কখনো এগোতে পারে না। তাহলে কেন আজ শিক্ষকদের অবহেলা করা হচ্ছে। যারা এই সার্বজনীন পেনশন স্কিম তৈরি করছে তারা কখনো এর ভিতরে আসবে না। তবুও এটি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সমাজব্যবস্থা একটা ঘোলা পানির মধ্যে আছে। আগে পানি পরিষ্কার করতে হবে তাহলে মানুষের আস্থা ফিরবে।

পেনশনের বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি

ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. হাসনা হেনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে যেমন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে হয়েছে। এখন এ পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেওয়া অনেকটা সেরকমই মনে হচ্ছে। এজন্য আজ শিক্ষকদের রাস্তার নামতে বাধ্য করেছে। যারা নীতিমালা তৈরি করে তারা কি আমাদের শত্রু? সার্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থাকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নতুন পেনশন কাঠামো বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। তবে সব পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব প্রয়োজনে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/এমএস

Read Entire Article