পেশাদার সংগঠনে বাংলাদেশি তথ্যবিজ্ঞানীর সফলতা

2 weeks ago 11
ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম জাপান অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (জেএআইএসটি) থেকে নলেজ সায়েন্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ইনফরমেশন স্কুলে (আইস্কুল) পোস্টডক সম্পন্ন করেন। তিনি বেশ কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ ফেলোশিপে ভূষিত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে VLIR-UOS ফেলোশিপ-(২০১২) বেলজিয়ামের ইউনিভার্সিটি অব অ্যান্টওয়ার্প, এসিআরসি ফেলোশিপ-(২০১৩) সিঙ্গাপুরের ন্যানিয়াং টেকনোলোজিকাল ইউনিভার্সিটি এবং অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিস (এসিইউ) ফেলোশিপ-(২০১৬) দ্য ইউকে। এছাড়াও তিনি ASIS&T, USA থেকে নিউ লিডারস অ্যাওয়ার্ড (২০১৭-২০১৮), জেমস ক্রেটসোস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০২১) এবং লুইস লুনিন অ্যাওয়ার্ড (২০২৩) অর্জন করেছেন। তার গবেষণার বিষয় জ্ঞান ব্যবস্থাপনা, ইনফরমেশন বিহেভিয়ার এবং ইনফরমেট্রিক্স। তিনি তার গবেষণায় তথ্যপ্রবাহের উন্নতি এবং ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাস করার জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায়ের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি ইউএসএর পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুদান, ASIS&T-এর চ্যাপ্টার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টেনিয়াল রিসার্চ গ্রান্ট এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ফান্ডসহ আরও অন্যান্য গবেষণা অনুদান পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুদানের আওতায় ‘এআই এবং স্বাস্থ্য তথ্য স্বাক্ষরতা : দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের মধ্যে ধারণা উপকারিতা এবং প্রস্তুতির একটি গবেষণা’ প্রজেক্টে প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তার পিআর রিভিউ জার্নাল বা কনফারেন্সে প্রকাশিত আর্টিকেলের সংখ্যা প্রায় আশিটি। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। মো. আনোয়ারুল ইসলামের জন্ম নীলফামারীতে। নীলফামারীতে স্কুলের পাঠ পেরিয়ে কলেজ রাজশাহীতে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করি। ২০০৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম আমার পিএইচডি-র দিনগুলো থেকে এখন পর্যন্ত Association for Information Science  and Technology (ASIS&T) কীভাবে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে তা নিয়ে কিছু একটা লিখব। ASIS&T হলো একমাত্র পেশাদার সংস্থা, যা ইনফরমেশন সায়েন্সের প্রয়োগ এবং গবেষণার মধ্যে সেতুবন্ধন করে। প্রায় ৮৫ বছর ধরে ASIS&T তথ্যে প্রবেশাধিকারের উন্নতির জন্য নতুন এবং উন্নত তত্ত্ব, কৌশল এবং প্রযুক্তি খোঁজার নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। বিশ্বের ৫০টিরও অধিক দেশের তথ্য বিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রের হাজার হাজার গবেষক, ডেভেলপার, পেশাজীবী এবং  শিক্ষার্থীরা এর সদস্য। প্রায় ৮৫ বছরের পুরোনো তথ্যবিজ্ঞানীদের জন্য ইউএসএ ভিত্তিক একটি পেশাজীবী সংগঠন যা তথ্যবিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সংমিশ্রণ কীভাবে সমাজের উন্নতি সাধন করে তা নিয়ে গবেষণা এবং অনুশীলন করে। একাডেমিয়ায় বেড়ে ওঠা এবং গবেষণা সহযোগিতায় এই দীর্ঘ সময়ে আমি যদি কিছু শিখে থাকি এবং অর্জন করে থাকি, তার একটি বড় অংশ ASIS&T-এর জন্যই সম্ভব হয়েছে বলে আমি মনে করি। তথ্যবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক সংগঠনে বাংলাদেশের গবেষকদের বিচরণ খুবই কম। পশ্চিমের এই সংগঠনে যোগদান এ দেশের তথ্য গবেষকদের অনেক দূর যেতে সাহায্য করতে পারে। ডিআরএফ ফেলোশিপ নিয়ে জাপানে পিএইচডির যাত্রা : সময়টা ২০১৩ সালের মাঝামাঝি, যখন আমি জাপানের অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির স্কুল অব নলেজ সায়েন্সে পিএইচডি ছাত্র ছিলাম তখন। knowledge management (KM) বা জ্ঞান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গবেষণার জন্য জাপানের বাইরের গবেষকদের খুঁজছিলাম। গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে KM ইতোমধ্যেই পশ্চিমে প্রসারিত হয়েছিল, তবে এশিয়াতে এটি তখনও তেমনভাবে আলাচিত ছিল না। কাজেই আমি সম্ভাব্য গবেষণা সহযোগিতা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গবেষকের কাছে ই-মেইল করেছিলাম। সেই সময় ইউএসএ-এর সিমন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নরেশ আগারওয়াল ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছিলেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আমরা নলেজ ম্যানেজমেন্ট ক্ষেত্রে গবেষণা সহযোগিতা শুরু করি। ২০১৪ সালের এক মিটিংয়ের সময় তিনি আমাকে ASIS&T-এ যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে আমি ASIS&T সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী হই এবং ASIS&T-এর স্পেশাল ইন্টারেস্ট গ্রুপ অন নলেজ ম্যানেজমেন্ট (SIG-KM) সম্পর্কে জানতে পারি, যা অনেক KM পেশাদারদের সঙ্গে বিশেষ করে- KM এবং ইনফরমেশন সায়েন্স ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় কিছু গবেষকদের সংযুক্ত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো ASIS&T কনফরেন্সে যোগদান: ২০১৫ সালেযুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে অনুষ্ঠিত ৭৮তম ASIS&T বার্ষিক সভার সময় আমি একটি পোস্টার উপস্থাপন করি। সেই সুবাদে আমার গবেষণা সহযোগীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার সুযোগ হয়। যার সঙ্গে আমি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ তথ্যবিজ্ঞানের টপ জার্নালে প্রকাশ করেছি। আমাদের দুজনের জ্ঞান ব্যবস্থাপনার উপর একটি বই এই বছরের শেষের দিকে টেইলর অ্যান্ড ফ্রান্সিস থেকে প্রকাশিত হবে। সেই কনফারেন্সে আমি অসাধারণ কিছু KM পেশাজীবীদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলাম, যার মধ্যে কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিমিজ দালকির ছিলেন অন্যতম। তাকে সরাসরি দেখা আমার জন্য ছিল এক উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, কারণ আমি আমার পিএইচডি কোর্সের জন্য তার লিখিত জ্ঞান ব্যবস্থাপনার ওপর প্রাথমিক বইটি পড়ছিলাম। আমার চারপাশে থাকা বিখ্যাত ব্যক্তিদের উপস্থিতি এবং গবেষণা আলোচনা আমাকে অত্যন্ত অনুপ্রাণিত এবং কিছুটা ভয়েরও সঞ্চার করেছিল। বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণ, প্লেনারি সেশন, প্যানেল, বিভিন্ন পেপার সেশন এবং অভিজ্ঞ ইনফরমেশন সায়েন্স গবেষকদের সঙ্গে কফি আড্ডা আমার জন্য ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। চমৎকার অভিজ্ঞতা এবং সুখ স্মৃতি নিয়ে জাপানে ফিরে আসি। ASIS&T এবং পুরস্কার : পরের বছর ২০১৬ সালে আমি এশিয়া প্যাসিফিক চ্যাপ্টারে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ASIS&T-এর কার্যক্রম প্রচার করতে শুরু করি। এর মাধ্যমে আমি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হই এবং বেশ কয়েকটি ইভেন্টের আয়োজন করতে সহায়তা করি। একসময় ASIS&T মেম্বারশিপ কমিটির চেয়ার ASIS&T- এর সম্পৃক্ততা বাড়ানোর উপায় হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন চ্যাপ্টার শুরু করার প্রস্তাব দেন। ৮টি দেশ এবং বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ জনসংখ্যা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়া একটি জনবহুল অঞ্চল। ২০১৭ সালে ওয়াশিংটন, ডিসিতে বার্ষিক সভায়, আমি অধ্যাপক নরেশ এবং পাকিস্তানের অধ্যাপক কানওয়াল আমিনের সঙ্গে দেখা করি এবং চ্যাপ্টারটি গঠনের বিষয়ে আলোচনা করি। ২০১৮ সালে আমরা দক্ষিণ এশিয়া (SA) চ্যাপ্টার ASIS&T-বোর্ডের অনুমোদনের জন্য পাঠাই এবং ২০১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অনুমোদিত হয়। চ্যাপ্টারটি যখন তার যাত্রা শুরু করে, তখন অধ্যাপক কানওয়াল আমিন চেয়ার (২০১৮-২০১৯) এবং আমি কোচেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করি । পরের বছর আমি চেয়ার (২০১৯-২০২০) হিসেবে দায়িত্ব পালন করি এবং বিভিন্ন ইনোভেটিভ কাজের জন্য চ্যাপ্টারটি সেরা চ্যাপ্টার পুরস্কার জেতে। বর্তমানে চ্যাপ্টারের সদস্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং এটি ASIS&T-এর রিজিওনাল ১০টি চ্যাপ্টারের মধ্যে একটি অন্যতম সফল চ্যাপ্টার। এরপর থেকে আমি ASIS&T-এ বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমিকা পালন করছি। এর মধ্যে SIG Knowledge Management-এর চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন, SIG International Information Issues-এর কো-চেয়ার এবং ২০২১ সালের বার্ষিক সভার পোস্টার কো-চেয়ার হওয়া। বর্তমানে আমি দক্ষিণ এশিয়া চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা, SIG-USE অ্যাওয়ার্ড কমিটির সদস্য এবং Lois Lunin Award-এর জুরি চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি ASIS&T-বার্ষিক সভায় বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ এবং পোস্টার প্রকাশ ও উপস্থাপন করেছি, নিয়মিত ASIS&T পেপার জমাদানের জন্য রিভিউয়ার হিসেবে কাজ করছি এবং বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের আমার শিক্ষার্থীদের, সহকর্মীদের এবং সহযোগীদের পেপার জমা দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। এই সমস্ত অভিজ্ঞতা আমাকে ASIS&T-এ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিততে সহায়তা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালের New Leaders Award, ২০১৯ সালের SIG-III International Paper Contest এবং ২০২১ সালের James Cretsos Leadership Award। ২০২৩ সালে অক্টোবরে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সভায়, যখন সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক Isto Huvila ঘোষণা করলেন ‘এই বছরের Lois Lunin Award 2023 যাচ্ছে মো. আনোয়ারুল ইসলামের কাছে’, সেই মুহূর্তটি এখনও আমার কানে বাজে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তথা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায়  ASIS&T থেকে তিনটি পুরস্কার পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশি আমি। মুলত এই পুরস্কারগুলোর উদ্দেশ্য হল- এমন একজন নতুন ASIS&T সদস্যকে স্বীকৃতি দেওয়া, যিনি পেশাগত কার্যক্রমে অসামান্য নেতৃত্বের গুণাবলী প্রদর্শন করেছেন, পরামর্শদান এবং নতুন ধারণা, কৌশল, প্রক্রিয়া বা প্রযুক্তির সৃষ্টিতে বা প্রয়োগে উদ্ভাবনের মাধ্যমে ইনফরমেশন সায়েন্স এবং টেকনোলজি প্রয়োগে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিভিন্ন সময়ে এই মনোনয়নের সমর্থনে সাপোর্টিং লেটারে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা অ্যাট চ্যাপেল হিলের অধ্যাপক ড. জাভেদ মোস্তাফা লিখেছেন, ‘আনোয়ারের ASIS&T-এর প্রতি নিবেদন অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং তিনি সংস্থার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করছেন।’ সিমন্স ইউনিভার্সিটি  স্কুল অফ লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সের ড. নরেশ কুমার আগরওয়াল ড. ইসলাম সম্পর্কে বলেছেন, ‘কয়েক বছরের মধ্যেই আনোয়ার দুটি বিশেষ আগ্রহের গোষ্ঠী (SIG-KM/ SIG-III), দুটি অধ্যায় (এশিয়া প্যাসিফিক, দক্ষিণ এশিয়া), একটি কমিটি (সদস্যপদ) এবং একটি সম্মেলন প্রোগ্রাম কমিটি এছাড়া ASIS&T-এ লেখক এবং পর্যালোচক হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি একটি নতুন অধ্যায় শুরু করা, সদস্য নিয়োগ এবং ধরে রাখা এবং তিনটি পুরস্কার জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এই কার্যক্রমের চেয়ে বেশি প্রশংসনীয় বিষয় হল- ASIS&T এর সদস্যপদ এবং এর কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আনোয়ার যে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’ উল্লেখ্য, আমি এখন আরও বেশি করে শিক্ষার্থী এবং নতুন গবেষকদের তাদের নিজস্ব যাত্রায় পথপ্রদর্শক এবং মেন্টর হিসেবে কাজ করছি। আমি দেখতে চাই, বাংলাদেশ অনেক তরুণ গবেষক এমন পুরস্কার জিতুক। নিউ লিডার্স অ্যাওয়ার্ডের তহবিল আমাকে ভ্রমণ করতে এবং বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণ করতে সাহায্য করেছিল। এটি না থাকলে হয়তো আমার যাত্রা শুরুতেই শেষ হয়ে যেত। আমি বিশ্বাস করি যে, ASIS&T-এর নিউ লিডার্স প্রোগ্রামটিতে বাংলাদেশি তথ্যবিজ্ঞানীরা আবেদন করে ভ্রমনের সুযোগ নিতে পারে। এই প্রোগ্রামটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে যেখানে আমার মতো গ্লোবাল সাউথ থেকে আসা কেউ তাদের স্বপ্ন দেখতে পারে এবং এই গ্লোবাল কানেক্টিভিটি তৈরি করতে পারে। ASIS&T-এ যোগদানের উপকারিতা : ASIS&T-এর মাধ্যমে সৃষ্ট নেটওয়ার্কিংয়ের ফলে আমি বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা এবং গবেষকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরেছি। যখনই আমার কোনো সুপারিশ পত্রের প্রয়োজন হয়েছে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ, ফেলোশিপ এবং ফ্যাকাল্টি পজিশনসহ অন্য ক্ষেত্রে আমি ASIS&T সহকর্মীদের কাছ থেকে অকুন্ঠ সমর্থন পেয়েছি। ASIS&T সদস্য হওয়ার অসংখ্য সুবিধা রয়েছে। একবার ASIS&T-এর সদস্য হয়ে গেলে, সাপ্তাহিক ইমেল, গবেষণা বিষয়ে ওয়েবিনার, নিউজলেটার এবং iConnect-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যপূর্ণ আপডেটগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারবেন। নিয়মিত সম্মেলনের তথ্য, ফ্যাকাল্টি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, পোস্টডক সুযোগ, ট্রাভেল গ্রান্টস এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পিএইচডি ফান্ডিং এর খবরসহ ইনফরমেশন সায়েন্স গবেষণার অনেক খবরের সাথে সম্পৃক্ত থাকা যায়।  ASIS&T-এর ডিজিটাল লাইব্রেরি, ASIS&T প্রসিডিংস, JASIST জার্নাল, Information Matters, ARIST, এবং বুলেটিনে ফ্রি একসেসসহ ইনফরমেশন সায়েন্সের গবেষণার ক্ষেত্রে আপনার জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে। আমি শিখেছি যে, কার্যকর যোগাযোগ, স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রকৃত নেতৃত্ব আসলে অন্যদের অনুপ্রাণিত করা এবং তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা অর্জনে ক্ষমতায়ন করার উপর ভিত্তি করে। ভবিষ্যতে আমার পরিকল্পনা হলো গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে একজন গবেষক হিসেবে আরও বিকশিত হওয়া, একজন পরামর্শক হিসেবে নিজেকে উৎসর্গ করা, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির উপর কাজ করা, নতুন চ্যালেঞ্জগুলো গ্রহণ করা এবং অন্যদের তাদের নেতৃত্বের যাত্রায় এগিয়ে যেতে সহায়তা করা।
Read Entire Article