পোশাক-চামড়া রপ্তানিতে বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে চায় মঙ্গোলিয়া

মঙ্গোলিয়া কাশ্মীরি পোশাক ও চামড়া রপ্তানিতে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় অংশীদার হিসেবে দেখতে চায়। সেই সঙ্গে দেশটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রম সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। ভারতে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতাদের সঙ্গে এক সৌজন্য বৈঠকে এ কথা বলেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বৈঠকটি হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বলেন, মঙ্গোলিয়া তাদের কাশ্মীরি পোশাক (কাশ্মীরি উলজাত পণ্য) ও চামড়া রপ্তানি সম্প্রসারণে নতুন অংশীদার খুঁজছে। যেখানে বাংলাদেশের দক্ষতা, মূল্য সংযোজন সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্প কাঠামো বিশাল সুযোগ তৈরি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, টেক্সটাইল উৎপাদন ও যৌথ প্রক্রিয়াকরণ খাতে বাংলাদেশ মঙ্গোলিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ সহযোগী হতে পারে। রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুল জেনারেল নাসরিন ফাতেমা আউয়াল। বিজিএমইএর পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম রহমান। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, নাফিস

পোশাক-চামড়া রপ্তানিতে বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে চায় মঙ্গোলিয়া

মঙ্গোলিয়া কাশ্মীরি পোশাক ও চামড়া রপ্তানিতে বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় অংশীদার হিসেবে দেখতে চায়। সেই সঙ্গে দেশটি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রম সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

ভারতে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতাদের সঙ্গে এক সৌজন্য বৈঠকে এ কথা বলেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বৈঠকটি হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বলেন, মঙ্গোলিয়া তাদের কাশ্মীরি পোশাক (কাশ্মীরি উলজাত পণ্য) ও চামড়া রপ্তানি সম্প্রসারণে নতুন অংশীদার খুঁজছে। যেখানে বাংলাদেশের দক্ষতা, মূল্য সংযোজন সক্ষমতা ও প্রতিযোগিতামূলক শিল্প কাঠামো বিশাল সুযোগ তৈরি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, টেক্সটাইল উৎপাদন ও যৌথ প্রক্রিয়াকরণ খাতে বাংলাদেশ মঙ্গোলিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ সহযোগী হতে পারে।

রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন মঙ্গোলিয়ায় বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুল জেনারেল নাসরিন ফাতেমা আউয়াল। বিজিএমইএর পক্ষে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেলিম রহমান। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক শাহ রাঈদ চৌধুরী, নাফিস-উদ-দৌলা, সুমাইয়া ইসলাম, কাজী মিজানুর রহমান, আসেফ কামাল পাশা, রুমানা রশীদ ও সামিহা আজিম।

সেলিম রহমান রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যকরণের উদ্যোগে বিজিএমইএ এরই মধ্যে কাজ করছে। এ প্রেক্ষাপটে মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা শিল্পখাতের জন্য সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিস্তারের বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে কাশ্মীরি উলজাত পণ্য, চামড়া, টেক্সটাইল উৎপাদন, যৌথ প্রক্রিয়াকরণ, খনিজ সম্পদ এবং লজিস্টিকসহ একাধিক খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে উভয় পক্ষ মতবিনিময় করে।

রাষ্ট্রদূত গানবোল্ড দামবাজাভ বলেন, মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি রয়েছে। ফলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা মঙ্গোলিয়ায় বিনিয়োগ করলে এসব উন্নত বাজারে শুল্ক সুবিধাসহ পণ্য রপ্তানির বড় সুযোগ পাবেন।

তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কৌশলগত খনিজ, মূল্য সংযোজন শিল্প, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

বৈঠকে মঙ্গোলিয়ার নির্মাণ শিল্প, সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন, রেল উন্নয়ন, কৃষি এবং মাইনিং খাতে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, এসব খাতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

এসময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে বিজিএমইএ এবং মঙ্গোলিয়ান চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ চ্যানেল তৈরির ওপর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এ লক্ষ্যে কয়েকটি সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সে অনুযায়ী আগামী মার্চে দুই সংগঠনের মধ্যে ভার্চুয়াল জুম মিটিং হবে এবং এপ্রিলে মঙ্গোলিয়া থেকে একটি ট্রেড মিশন বাংলাদেশ সফর করবে। অন্যদিকে, জুন-জুলাই মাসে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল মঙ্গোলিয়া সফর করবে।

আইএইচও/একিউএফ/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow