বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আদাবর থানা এলাকায় পোশাককর্মী রুবেল হত্যা মামলায় একাত্তর টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুত হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ ও প্রিন্সিপাল করেসপন্ডেন্ট ফারজানা রুপাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালতে তার উপস্থিতিতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আসামিরা পোশাককর্মী ফজলুল হত্যা মামলায় চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। আজ তাদের রিমান্ড শেষ হওয়ায় রুবেল হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদনপূর্বক ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
গত বুধবার (২১ আগস্ট) শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে ডিবিতে হস্তান্তর করে।বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) আদালতে হাজির করে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় পোশাককর্মী ফজলুল করিম হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মদ হুমায়ুন কবির তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন
গত ৮ আগস্ট একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে মুস্তফা আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী, গত ৮ আগস্ট থেকে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
গত ১৪ জুলাই চীন সফর শেষে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের ফারজানা রুপা। তার প্রশ্নটি ছিল, কোটা আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে প্রতিনিয়ত অবমাননাকর বক্তব্য রাখা হচ্ছে। এই অবমাননা মুক্তিযোদ্ধারা সহ্য করতে পারছেন না। রাষ্ট্রের কিছু করণীয় আছে কি না?
এমন প্রশ্নের পর ফারজানা রুপার ব্যাপক সমালোচনা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীরা। পরে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ফারজানা রুপাকে চাকরিচ্যুত করে একাত্তর টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
জেএ/বিএ/এএসএম