সকল বৈষম্য দূরীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটক অবরোধ করে এ কর্মসূচি করেন তারা। দুই ঘণ্টা ক্লাস বর্জনের ঘোষণাও দেন তারা।
এসময় পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোয়ার্টার সংস্কারসহ প্রাতিষ্ঠানিক সকল সুবিধা বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
- আরও পড়ুন
- রাবিতে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের লিফলেট বিতরণ
- বহিষ্কৃত শিক্ষকের নাম-ছবি এখনো ওয়েবসাইটে!
- দ্বিতীয় দিনে মনোনয়ন ফরম নিলেন ১৩ প্রার্থী
এসময় অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আমাদেরকে জিম্মির মুখে রেখে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা পোষ্য কোটাসহ প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা পাচ্ছে, শুধু বঞ্চিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আজ আমরা প্রশাসনকে একটি নির্দিষ্ট সময় দিবো, সেই সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, আজকে ক্লাসরুমে থাকার কথা, কিন্তু আমাদের দাবি আদায়ের জন্য এখানে দাঁড়াতে হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা আমাদের অধিকার। সেই অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে নিয়ে আমাদের আজকের এ আন্দোলন।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেন, সারা দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল থাকলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল করা হয়েছে। এই সুবিধা কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি এবং এটি বাস্তবায়নের দাবিতে আমরা অনড় থাকবো। প্রয়োজন হলে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা ফিরিয়ে আনবো।
এসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মনির হোসেন মাহিন/এফএ/জিকেএস